পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ সাংসদ লিটন হত্যার ৫ দিনেও মোটিভ উদ্ধার হয়নি
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ আসনের (সুন্দরগঞ্জ) আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা ঘটনার ৫ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত হত্যাকা-ের মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম গতকাল ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান, সদর থানা পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বিভাগ এই খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ খুনিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুরু থেকেই এ হত্যাকা-ের তদন্তে নব্য জেএমবি, জামায়াত-শিবির, পারিবারিক শত্রুতা, রাজনৈতিক কোন্দল এবং জেলা পরিষদের নির্বাচনসহ ৫টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে জামায়াত-শিবির, পারিবারিক শত্রুতা এবং জেএমবি জঙ্গি এই ৩টি বিষয়ের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে পারিবারিক কলহে লিটন প্রাণ হারিয়েছেন এমন কথা চাউর হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ লিটন হত্যাকা-ের প্রত্যক্ষদর্শী পরিবারের লোকজন, কেয়ার টেকারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশের একটি তদন্ত দল লিটনের বাড়িতেই মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী, এমপি লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি, লিটনের শ্যালক বেদারুল আহসান বেতার, লিটনের ছেলে সাকিব সাদমান রাতিন, এমপির গাড়িচালক ফোরকান আকন্দ, বাড়ির কেয়ার টেকার ইসমাইল, ইউসুফ, সৌমিত্র, মাজেদুল ইসলাম, এমপির ভাগনি মারুফা সুলতানা শিমু, এমপির চাচী শামীম আরাকে পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী লিটনের শ্যালক বেদারুল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ এ বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছে না।
এদিকে, এমপি লিটন হত্যার প্রতিবাদে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বুধবার বামনডাঙ্গা রেল স্টেশন চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান পিয়াল, জসিম উদ্দিন ডলার, ফয়সাল সাকিদার, স্বপনবাস রায় প্রমুখ। সম্পাদনা: এনামুল হক