ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওবায়দুল কাদের অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছামুক্ত ছাত্রলীগ চাই
মুনওয়ার আলম নির্ঝর: ছাত্রলীগকে অনপ্রবেশকারী ও পরগাছামুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, এই অনুপ্রবেশকারীরাই ছাত্রলীগের অগ্রগতিতে প্রধান বাধা। কাজেই এই পরগাছা যেন দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অল্পকিছু পরগাছার জন্য পুরো ছাত্রলীগ, সরকার এবং আওয়ামী লীগের বদনাম মেনে নেওয়া যায় না। গতকাল ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলার’ পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে হবে। আর সে লক্ষ্যে বিতর্কিত লোকদের কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে। নিয়মিত ছাত্র এবং ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার উপর জোর দেন তিনি।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগকে সতর্ক করে বলেন, দলে পকেট কমিটি এবং গ্রুপিং সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ বিষয়ে নেতা-কর্মীদের আরও যতœশীল হওয়ার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের। নারয়ণগঞ্জ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিএনপি এখন দিশেহারা পথিক। এ দিশেহারা পথিকরা এখন আবোল-তাবোল বকছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন একটি নালিশই দল। নারয়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর আগামী নির্বাচনেও বিএনপির জেতার আশা বিলীন হয়ে গেছে। তাদের বুদ্ধিজীবীরাই এখন তাদের সমালোচনা করছে।
তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দিপু মনি, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সালাম গোলাপসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে ছাত্রলীগ এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকালে কার্জন হলে কেক কাটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্পাদনা: এনামুল হক