জ্ঞান অর্জনে ইসলাম
খালেদ সাইফুল্লাহ
জ্ঞান আল্লাহ তাআলার মহান দান। জ্ঞানের কারণেই মানুষ আল্লাহ তাআলার দরবারে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালামকে জ্ঞানী বানিয়ে ফেরেশতাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করে তাকে সিজদার নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্বীকৃত কথা হচ্ছে যার নিকট ইলম বা জ্ঞান থাকবে, তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা সর্বমহলে সুপ্রতিষ্ঠিত। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণও এ ইলম বা জ্ঞান।
মহান আল্লাহ দুনিয়ার সব প্রাণীকেই জীবন দান করেছেন। কিন্তু ইলম বা জ্ঞান না থাকার কারণে সব প্রাণী ভালো-মন্দ বিচার করতে পারে না। এমনকি মানুষের মধ্যে যারা ইলম বা জ্ঞান অর্জনে ব্যর্থ তারাও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে ব্যর্থ। কারণ ইলম বা জ্ঞান না থাকলে আল্লাহ তাআলাকে চেনা-জানা বা তাঁকে ভয় করা যায় না। মানুষ কুরআনের ইলম বা জ্ঞান অর্জনের কারণেই আল্লাহকে ভয় করে এবং অন্যায় কাজ থেকে বেঁচে থাকে। দুনিয়া পরকালে ইলম বা জ্ঞান অর্জনকারীর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি। হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি লাভকারী মানুষ দেখতে চায়, সে যেন আল্লাহর দ্বীনের ইলম অর্জনকারী ব্যক্তির দিকে তাকায়।
তিনি শপথ করে বলেন, কোনো বিদ্বান বা জ্ঞানী ব্যক্তির দরজায় যখন কোনো জ্ঞান অন্বেষণকারী ইলম শিখতে যায়, তখন ইলম অর্জনকারীর প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময় তার আমলনামায় এক বছরের ইবাদতের সাওয়াব লেখা হয়। জান্নাতে তার জন্য একটি শহর তৈরি করা হয়। সে যখন জমিনে বিচরণ করে, জমিন তার জন্যে আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা করে এবং তার উপর সকাল-সন্ধ্যা হয় এমন অবস্থায় যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন। ফেরেশতারা সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, তারা দোযখ থেকে নাজাত হাসিলকারী।
উপরের হাদিস থেকেও প্রতীয়মান হয় যে, জ্ঞান অর্জনকারী ব্যক্তিই তাকওয়াবান, শ্রেষ্ঠ এবং মর্যাদাবান। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ধর্মীয়জ্ঞানসহ সব ধরনের কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন করে দুনিয়া ও পরকালের শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করা তাওফিক দান করুন।