সাহাবুদ্দিন সনু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কয়েকটি বৈধ বিট/খাটাল ছাড়ায় অবৈধভাবে গরু আসার ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব চোরাই গরু আনতে সহায়তা করছে বিজিবি’র চিহ্নিত কিছু দালাল।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তে ভারতীয় গরু আনা-নেয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিট এবং ভারতীয় গরু করিডোরের মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়ে নির্বিঘেœ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাবার অংশ হিসেবে বিট বা খাটাল প্রথা চালু করে। এর অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর ও মাসুদপুর বিওপি’র অধীনে বিট বা খাটালের অনুমতি দেয়। কিন্তু কিছুদিন ধরে প্রতিরাতেই মনোহরপুর, মাসুদপুর, শিংনগর, আজমতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় প্যাড ছাড়ায় চোরাইপথে প্রায় ৫শ গরু প্রবেশ করাচ্ছে এবং দালালরা গরু জোড়াপ্রতি ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা এসব গরু বিট বা খাটালে নিচ্ছে না, এমনকি কাষ্টমস করিডোরও করছে না। এতে সরকার ও বিট মালিকরা লাখ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভারতীয় প্যাডের মাধ্যমে গরু আসলে বিওপি যেমন জ্ঞাত থাকে, তেমনি বিট খাটালের মালিকরাও পরবর্তীতে অবগত হয়। এতে গরুর প্রবেশের নিরাপত্তার পাশপাশি রাখালদের পুঁজি হারানোর ভয় থাকে না। তবে, মাঝে মধ্যে সীমান্তে বিজিবি’র টহল দল অবৈধ পথে আসা গরু আটক করলেও, বেশীরভাগ সুকৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বিট/খাটালের প্রতিনিধি জানান, ভারতীয় প্যাডে গরু আনলে বেশী খরচ হবে এ মর্মে গরু ব্যবসায়ীদের ভূল বুঝিয়ে দালালরা অবৈধভাবে গরু আনতে উৎসাহিত করছে। এতে বিট মালিকরা যেমন তিগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আবুল এহসান জানান, সীমান্তে অবৈধভাবে গরু প্রবেশে কোন ধরনের সুযোগ নেই। তারপরও কেউ ঢোকলে সেসব গুর আটক করে কাষ্টমসে চালান দেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: তারেক