চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা তথা এ অঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি কেরুজ চিনিকল। যা দর্শনা চিনিকল হিসেবে পরিচিত। ওষুধ, চিনি, মদ ও কৃষি খামার নিয়ে গড়ে তোলা কেরুজ এশিয়া মহাদেশের ২য় বৃহত্তম ও বাংলাদেশের প্রথম বৃহত্তম ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির রয়েছে সোনালী অতিত ঐতিহ্য রয়েছে। ৭৯ বছর বয়সী মিলটি সম্প্রতি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। ডিস্টিলারী কারখানাটিরও ব্যপক পরিবর্তন অসছে অচিরেই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মিলের রাজস্ব ও লোকসানের সঠিক হিসেব কেউ দিতে না পারলেও স্বাধীনতার পর থেকে মিলটিতে ৫০-৬০ কোটি টাকা লোকসান হলেও মুনাফা অর্জন হয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি ৫৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। সম্প্রতি ২ অর্থ বছরে মুনাফা অর্জনের পরিমাণ একেবারেই কম। কেরুজ চিনিকলে প্রতিবছর লোকসান গুনতে হলেও এর ডিস্টিলারি বিভাগের লাভের টাকায় চিনিকল কারখানার মোটা অঙ্কের লোকসান পোষাতে হয় প্রতি বছর। এছাড়া লোকসান গুণতে হয় খামারগুলোতেও। বাংলাদেশের শিল্প স্থাপনাগুলোর মধ্যে কেরুজ চিনিকল একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ দর্শনায় ওষুধ ফ্যাক্টরী, চিনিশিল্প, ডিস্টিলারী ও বাণিজ্যিক খামারের সমন্বয়ে এ বৃহত্তর শিল্প কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত। ১৮০৫ সালে মি. জন ম্যাক্সওয়েল নামক এক ইংরেজ তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভারতের কানপুরে জাগমু নামক স্থানে একটি মদের কারখানা চালু করেন। সময়ের বিবর্তনে নাম, স্থান, মালিকানা, উৎপাদন ও ব্যাবসায়িক কর্মকা- পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হতে থাকে। সম্পাদনা: তারেক