ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আবাসন প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে যথাযথ পরিকল্পনা নিতে হবে ও পরিকল্পিত উপায়ে বাড়িঘর নির্মাণ করতে হবে। একতলা বা দ্বিতল বাড়ির পরিবর্তে বহুতল ভবন নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন.
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের রজত জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদাসহ অবকাঠামো নির্মাণ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনে প্রচুর জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কারণে প্রতিদিনই কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। কাজেই জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই যত্রতত্র বাড়িঘর নির্মাণ করে কৃষি জমি নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই।
আবাসন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, বেশির ভাগ ক্রেতাই তাদের জীবনের সর্বস্ব দিয়ে একটি প্লট বা ফ্যাট ক্রয় করে। তাই গ্রাহকরা যাতে আবাসনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ভবন নির্মাণের েেত্র সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। অতি মুনাফা লাভের আশায় কোনোভাবেই গুণগতমানের ব্যাপারে আপস করা যাবে না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রকল্প নেওয়ার সময় নিম্ন ও মধ্য আয়ের গ্রাহকের ক্রয়মতা বিবেচনায় রাখতে হবে। অন্যায়ভাবে সরকারি জমি বা অন্যের জমি জোর করে দখল করে হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের সংবাদ আজকাল প্রায়ই পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়। এতে গোটা আবাসন খাতের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা জন্মে।।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, সহ-সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী ও পরিচালক জহির আহমেদ।
রজত জয়ন্তী উপলে রিহ্যাবের প থেকে প্রয়াত ব্যবসায়ী ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠানকালীন সদস্য। জহুরুল ইসলামের পে তার ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। তিনিও সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক সভাপতি।
১৯৯১ সালে ১১ সদস্য নিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) গঠিত হয়। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এক হাজারের বেশি। সম্পাদনা: এনামুল হক