বগুড়া প্রতিনিধি : ৫ দিন পার হলেও বগুড়ার শাজাহানপুরের ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব বই বুঝে পায়নি। এখনও সাড়ে ৯ হাজারের বেশি বই এসে পৌঁছায়নি এ উপজেলায়। ফলে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে আগামী রবিবারের মধ্যে বই বিতরণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলার ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও বিশেষায়িত স্কুল মিলে মোট ১৯৪টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭ হাজার ৪২৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্য পুস্তকের চাহিদা দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে।
সে মোতাবেক গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে শাজাহানপুরে বিনামূল্যের বই আসতে শুরু করে। কিন্তু ১ জানুয়ারির বই উৎসবে দেখা যায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষার বই ছাড়া আর কোে বই পৌঁছায়নি। আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি এবং সমাজ বই পৌঁছালেও গণিত, বিজ্ঞান এবং ধর্মীয় শিক্ষার বই আসেনি। ১ জানুয়ারি রাতে তৃতীয় শেণির বিজ্ঞান বই বাদে অন্য ৪টি বিষয়ের বই এবং পঞ্চম শ্রেণির অবশিষ্ট ৩টি বিষয়ের বই শাজাহানপুরে পৌঁছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাজাহানপুরের সাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী জানান, পাঠ্য বই পৌঁছানো এবং বিতরণের কাজ সময়মতো না হওয়ায় পাঠদান ও পাঠগ্রহণ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শাজাহানপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, বিভিন্ন শ্রেণীতে এ বছর বইয়ের চাহিদা ছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ৯২০ কপি। তৃতীয় শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান ও অন্যান্য ক্লাসের ৯ হাজার ৫২০ কপি বই বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্দ পাওয়া যায়নি।
আগে যেসব বই এসেছে তা বিতরণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী রবিবারের মধ্যে বই বিতরণ শেষ হবে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান