আন্টার্কটিকায় ১১ মাইলের ফাটল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল গত কয়েক বছর ধরেই। এবার চরম বিপদসঙ্কেত দিলেন বৈজ্ঞানিকরা। আন্টার্কটিকায় সীমান্ত লাগোয়া হিমবাহে এবার ধরা পড়ল ১১ মাইল লম্বা ফাটল। যার জন্য দায়ী পরিবেশ দূষণ এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিগত কয়েক বছর ধরেই আস্তে আস্তে ভাঙছিল আন্টার্কটিকার বরফের স্তর। পাতলা বরফের টুকরো ভেসে আসছিল সমুদ্রের পানিতে। প্রকা- মাপের সেই বরফের স্তরগুলো কোনওটা মাপে ম্যানহাটন এলাকার চেয়েও বড়। এবারের ফাটল দেখার পরে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে বিজ্ঞানীদের। যার ফলে গলে গেছে ২০০০ বর্গ মাইল আয়তনের বরফ। যা নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই ফাটল তো রাতারাতি হতে পারে না। সেটা এতদিন নজরে আসেনি কেন? আজকাল
জার্মানির আন্টার্কটিকা বিশারদ গবেষক ড্যানিয়েলা জ্যানসেন বলছেন, ‘আমরা আন্টার্কটিকায় নজরদারি চালাই মূলত উপগ্রহের চিত্রের মাধ্যমে।
যে সময়টায় আন্টার্কটিকায় এই ফাটল ধরা শুরু হয়েছে, তখন সেখানে একটানা ছ’মাস রাত ছিল। তাই অন্ধকারের কারণে ফাটল নজরে আসনি। উদ্বেগের কথা এই যে, এই ফাটল কমার নাম নিচ্ছে না, বরং বেড়েই চলেছে।’ উদ্বেগের আরও কারণ এই যে, যেখানে ফাটল তৈরি হয়েছে, সেই স্থানটি তিনটি বড় হিমবাহের সংযোগস্থল। ফলে আরও তিনটি হিমবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই ফাটল ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে যেতে পারে। আর তার প্রভাব পড়তে পারে হিমবাহের ১০০০ ফিট পর্যন্ত গভীর জলতলে। জ্যানসেন বলছেন, ‘পইপই করে সতর্ক করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে না। প্রকৃতির নিয়মেই হয়তো আন্টার্কটিকা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এই ফাটল হয়তো সেই ধ্বংসেরই সূত্রপাত।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ