শরণখোলায় বাবা-মাকে কুপিয়ে কলেজছাত্রীকে অপহরণ
আসাদুজ্জামান স্বপন, শরণখোলা (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় বাবা-মাকে কুপিয়ে ফাতেমাতুজ্জোহরা শান্তা (২০) নামের এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করেছে তালাকপ্রাপ্ত ও স্বামী ও তার লোকজন।গত শুক্রবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। আহত দুলু গাজী (৫৫) ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগমকে (৪২) শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় অহিদুলজ্জামান ডালিম ও শাহাবুদ্দিন নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের আ. সবুর আকনের ছেলে ছেলে সজিবের সঙ্গে ২০১৫ সালে দুলু গাজীর মেয়ে শান্তার বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে গত বছরের (২০১৬) নভেম্বর মাসে স্ত্রী তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এনিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে সবুর আকন ও তার ছেলে সজীবের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুলু গাজির বাড়িতে হামলা চালায়। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দুলু গাজী ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে শান্তাকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এসময় দুলু গাজীর বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়াদেরও সন্ত্রাসীরা জিম্মি করে রাখে। ওই রাতে সন্ত্রাসীরা শান্তাকে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলায় নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমান মাইক্রোবাসে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবার সূত্র জানায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলু গাজী বলেন, সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রথমে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় আমাদের ডাকচিৎকারে আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও প্রতিবেশীরা আসতে চাইলে অস্ত্রধারীরা তাদেরকে জিম্মি করে রাখে। পরে সবুর আকন ও তার ছেলে সজীব আমার মেয়েকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপহৃত শান্তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান