শীতে কাঁপছে শেরপুরের মানুষ
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী (শেরপুর): শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী অঞ্চলগুলিতে ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩দিন থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলো চখে পড়ে না এবং একইসঙ্গে চলছে হিমেল হাওয়া। ঘর কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে শীত রোগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে শুরু ও বয়-বৃদ্ধ লোকেরা। জেলার গ্রামগুলিতে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, আমাশয়, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা জ্বর ও বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে অনেই। শীত আক্রান্ত রোগীরা প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালে এসে ভিড় করছে। হাসপাতালে শীত জনিত রোগের তেমন কোন ওষধ না থাকায় দরিদ্র-অসহায় রোগীরা সরকারি চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই হাসপাতালে অবিলম্বে দরিদ্র রোগীদের জন্য শীত জনিত রোগের ওষধ সরবরাহ করা অত্যান্ত জরুরি বলে মনে করছেন ভোক্তভোগীরা। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর শীতের দেখা মিলেছে দেরিতে। কিন্তু বর্তমানে শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। অসহায় দরিদ্র ছিন্নমূল, ক্ষেত মুজুর-দিনমুজুর ও নি¤œ শ্রেণীর মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য অনেকেই সরকারি-বেসরকারি শীতবস্ত্র প্রত্যাশা করছেন। আবার অনেকেই শীতের প্রচ-তার কারণে কম দামে পুরাতন কাপড়ের দোকান ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু যারা একেবারেই নি¤œ আয়ের মানুষ তারা অনেকেই পুরান কাপড়ের দোকান থেকে অল্প দামেও শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না। তাদের একমাত্র সহায় খরকুটার আগুন দিয়ে শীত নিবারণ করছে। প্রসঙ্গত, শেরপুর জেলা সীমান্ত ঘেষা হিমালয়ের পাদ দেশে অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত সন্ধার পরে নেমে আসে ঘন কুয়াশার আচ্ছনে ঘেরা হিমালয়ের হিমেল হাওয়া আর মৃদু শৈত্র প্রবাহে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শীতার্থদের জন্য সরকারী ভাবে ৭টি ইউনিয়নের জন্য ১১৯৬টি কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। ইতোমধ্যেই বরাদ্দকৃত কম্বল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভাজনের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত ইউনিয়ন পর্যায়ে ১১৯৬টি কম্বলের হিস্যানুযায়ী যে কম্বল পেয়েছিল তা বিতরণ করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। কারণ শীতার্তদের তুলনায় শীতবস্ত্র সীমিত হওয়ায় এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ২লক্ষাধিক লোকের বসবাস। সিংহভাগ লোকই দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক, দিনমুজুর, নি¤œ আয়ের মানুষসহ আদিবাসী কোচ, গাঢ়, হাজংসহ নানা সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। বর্তমানে বরাদ্দকৃত ১১৯৬টি কম্বল অত্র উপজেলার জন্য অতি নগন্ন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান