কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় বসানো হচ্ছে ৪০ টি সিসি ক্যামেরা
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার: চুরি, ছিনতাই কিংবা যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে, ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবার শাহীন চত্ত্বর থেকে কলাতলী পর্যন্ত বসানো হবে ৪০ টি সিসি ক্যামেরা। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র এএসপি হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, শাহীন চত্ত্বর থেকে কলাতলী পর্যন্ত সড়ক ও সাগর পাড়ে ৪০ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। তার জন্য ১৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৩ মাসের মধ্যেই এসব এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশের পর্দায় দেখা যাবে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এতে সব থেকে বেশি উপকৃত হবে পর্যটকরা। লাবনী পয়েন্টে ১০ দোকান পর পর একটি করে ক্যামেরা এবং প্রতি দোকানে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগেই বসানো হবে ক্যামেরা। এতে করে ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবে। তিনি বলেন,‘বর্তমানে হোটেল মোটেল জোনের অর্ধেক এলাকা ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় এলে অপরাধমূলক র্কাযক্রম অনেকটা কমে আসবে। অপরাধীরা যখন জানতে পারবে এসব এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে তখন তারা ঐসব এলাকায় অপরাধমূলক কাজ করতে সাহস পাবে না।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের জানান, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকেরা বেড়াতে এসে বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখিন হয়। এ কারণে তারা দ্বিতীয়বার কক্সবাজারমুখী হতে চায় না। বিভিন্ন দেশের পর্যটন নগরীগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানো থাকে। কক্সবাজারেও যদি গুরুত্বর্পূণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকে তবে অপরাধমূলক কার্যক্রম অনেকটা কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন,‘পর্যটকদের স্বার্থে আমাদের সব রকমের সুযোগ সুবিধা ও যেকোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পর্যটকেরা যেন বিমুখ না হয় সেদিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। গুরুত্বর্পূণ স্থানগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার হবে।’ সম্পাদনা : মুরাদ হাসান