জাফর আহমদ: গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ না করার কৌশল হিসাবে শ্রম আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আশুলিয়ার গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ করা হয়েছিল। মালিকদের এ কৌশল ট্রেড ইউনিয়নের সহায়ক নয় বলে মনে করছে জাতীয় শ্রমিক নেতৃৃবৃন্দ।
শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আয়োজিত ‘দমন নির্যাতন নয় আলোচনার মাধ্যমে আশুলিয়াসহ উদ্ভুত’ পরিস্থিতি নিরসনের দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনউয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের তথ্য অনুযায়ী বৈদেশিক আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মাথা পিছু আয় সর্বোপরি জিডিপি বাড়লেও সব কিছুর প্রাণশক্তি যে শ্রমিক। তাদের কিন্তু আয় বাড়ছে না। অথচ জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়ছে দিন দিন। ফলে প্রাপ্ত মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু শ্রমিকরা এ কথা বলার চেষ্টা করলেই তাদের ওপর মালিক ও প্রশাসনের নির্যাতন নেমে আসছে।
তারা বলেন, আশুলিয়ার শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার ফলে শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাকি নেতাদের এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। সমাধানের ইতিবাচক পথে না গিয়ে মালিক পক্ষ দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে পোশাক শিল্প নতুন সমস্যার মধ্যে পড়েছে। নেতৃবৃন্দ দাবি জানান, গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দান, মামলা প্রত্যাহার ও নির্যাতিন বন্ধ করতে হবে, চাকরিচ্যুতদের বহাল ও বন্ধকালীন সময়ের মজুরি প্রদান করতে হবে, অবিলম্বে বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ করতে এবং শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম। সম্পাদনা: এনামুল হক