বিপ্লব বিশ্বাস: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই এক সময় শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন অথবা এখনও জড়িত। এ কারণেই জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলছে সরকার।
গত বছরের ২৬ জুলাই মিরপুরের কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহতদের মধ্যে নোয়াখালীর পশ্চিম মাইজদীর যোবায়েরুল ইসলাম শিবিরের কর্মী ছিলেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার বাবা আবদুল কাইয়ুম। ছেলের মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার পরিবারের কেউ জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু চাচাত ভাই বাহাদুর আমার ছেলেটিকে শিবিরে ঢুকিয়েছে, তার জন্যই আজ এই পরিণতি হলো।’ এই বাহাদুরকে এরপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই অভিযানে জীবিত ধরা পড়া বগুড়ার রাকিবুল হাসান রিগানও শিবির নিয়ন্ত্রিত কোচিং সেন্টার রেটিনায় ভর্তির পর জঙ্গি তৎপরতায় জড়ান বলে জানিয়েছেন তার মা রোকেয়া আকতার। হাসান সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে কেবল দুই বিষয়ে পাস করেন। এই ধরনের একজন ছাত্রের মেডিকেলে ভর্তির জন্য কোচিং করা সন্দেহজনক-বলেছেন খোদ তার কলেজের অধ্যক্ষ এজাজুল হক। ২০১৬ সালের জুনে মাদারীপুরে এক কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় জনতার হাতে আটকের পর পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমও ছাত্র শিবিরের কর্মী ছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন।
গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রামে উগ্রবাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য সন্দেহে আটক তিন কর্মীর একজন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রনি। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো ফেনীর পেয়ার আহমদ আকাশও শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র থেকে খোয়া যাওয়া এ কে ফোরটি সেভেন রাইফেল বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখন তার ভগ্নিপতি ফেনী জামায়াতের নায়েবে আমির আবু ইউসুফের তদবিরে তিনি জামিন পান। এরপর মালয়েশিয়া পালিয়ে যান। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন