ইসমাঈল হুসাইন ইমু: রাজধানীর বংশালে গৃহবধূ উর্মি হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে উর্মির ঘাতক মাসুদ রানা। এসময় তার কাছ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু ও নিহত উর্মির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, গত ৫ নভেম্বর মাসুদ রানা তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন। কিন্তু কানের দুলের বায়না ধরে স্ত্রী। কানের দুলের সন্ধানে চাচি উর্মির কাছে যায় ভাতিজা মাসুদ রানা। কিন্তু চাচার অনুমতি ছাড়া কানের দুল দেবে না বলে জানালে, বাকবিত-ায় জড়ায় মাসুদ। এসময় চাচি চড় মারলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ ফল কাটার ছুরি দিয়ে চাচিকে মারার চেষ্টা করে। চাচি ক্ষিপ্ত হয়ে রান্না ঘর থেকে বঁটি নিয়ে তেড়ে আসে। এ সময় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে বাথরুমে উর্মি আশ্রয় নিলে মাসুদ বাথরুমের দরজা ভেঙে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চাচিকে। এরপর মাসুদ রক্তাক্ত পোশাক খুলে চাচার পোশাক পরে নির্বিঘেœ পালিয়ে একটি মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। এরপর দীর্ঘ সময় ক্লুলেস ঘটনায় একাধিকবার স্বামী আজগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ। এরপর নিহত উর্মির ব্যবহৃত মোবাইলটি ট্র্যাক করে পুলিশ। জুয়াড়িদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধারের পর জানা যায়, মাসুদ রানার জুয়া খেলার নেশা ছিল। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে মোবাইলটি বিক্রি করেছিল। এরপরই মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এদিকে রক্তাক্ত উর্মির মরদেহ নিয়ে যখন হাসপাতালে ছুটছিলেন তখন সবার সন্দেহ ছিল স্বামী আজগর আলীর দিকে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর হত্যার দায়ে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করা হয় তাকে। কিন্তু ক্লু-লেস হত্যাকা-ের তদন্তে হিমশিম খায় থানা পুলিশ। তবে ছায়া ডিবি দক্ষিণ বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে হত্যাকা-ের মূল রহস্য। একটি কানের দুলকে কেন্দ্র করেই হত্যাকা- সংঘটিত হয়। সম্পাদনা: এনামুল হক