এল আর বাদল: হোয়াইটওয়াশে শুরু, হোয়াইটওয়াশে শেষ বাংলাদেশের সিমিত ওভারের সিরিজ। সামনে এবার দুই টেস্টের সিরিজ। গতকাল টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচেও ২৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে এতো হতাশার মাঝে আরেকটি হতাশার সংবাদ পাশে দাঁড়ালো। সেটি হচ্ছে, শেষ টি-২০ খেলতে গিয়ে দলনায়ক মাশরাফি হাতে ব্যথা পেয়েছেন। পরীক্ষায় তার হাতে চিড় ধরা পড়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাশরাফিকে দেড় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এই দুর্ঘটনার আগে তামিম আর ইমরুল কায়েস কিছুটা ইনজুড়িতে আছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত টিম ম্যানেজমেন্ট।
গতকাল বে ওভালে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের করা ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য মাশরাফিরা ভালোভাবেই তাড়া করছিল। কিন্তু সুস্থ মস্তিষ্কে ব্যাটিং করতে না পারায় হারটাকে স্বীকার করতে হলো তাদের। ৬ উইকেটে সবকটি ওভার খেলে ১৬৭ রান তুলতে সক্ষম হয় মাশরাফিরা। তাতেই কিউইদের কাছ থেকে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা ঝুলিতে পুরে টাইগাররা। কিউইদের বলে শেষদিকে তালগোল ভালো করেই পাকায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে শোধি আর সান্টার এই দুজনের বোলিং সামলাতে হিমশিম খায় টাইগাররা। তার আগে সৌম্যকে বিদায় করেন শোধি। এরপর রিয়াদকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ১৮ রান করেছেন রিয়াদ। ব্যক্তিগত ১২ রান করে সান্টারের বলে বিদায় নেন মোসাদ্দেক। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় অপেক্ষাকৃত সহজ একটি বলকে সুইপ করতে গিয়ে মনে হয় নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে ফিরলেন সাব্বির। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১৮ রান করেছেন সাব্বির।
ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন সৌম্য সরকার। তামিমের সঙ্গে ওপেনিং করতে নেমে ২৮ বলে ৬ চারে ৪২ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় থাকা সৌম্য দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়েই রানে প্রত্যাবর্তন করেন। ওইদিন ২৬ বলে ৩৯ রান করেছিলেন তিনি। ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৪ রান করে টাইগাররা। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৪ রান করে বিদায় নেন তামিম।
এর আগে কোরি অ্যান্ডারসনের বিধ্বংসী ব্যাটিং আর কেন উইলিয়ামসনের দৃঢ়তায় বাংলাদেশকে ১৯৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪১ বলে ৯৪ রান করেছেন কোরি। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ২২৯.২৬। এর মধ্যে ছিল ২টি চার আর ১০টি ছয়ের মার। দলের সংগ্রহ বড় করতে অবদান রাখেন কেন উইলিয়ামসনও। ১ ছয় ৬ চারে ৫৭ বলে ৬০ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন রুবেল। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক।