নিজস্ব প্রতিবেদক: সাঁওতাল উচ্ছেদের ঘটনায় আলামত নষ্ট করায় গোবিন্দগঞ্জের রংপুর সুগার মিলের এমডির বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের অধিগ্রহণ করা জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের পর সে ঘটনার আলামত নষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় রংপুর সুগার মিলের এমডির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
ঘটনার দিন সুগার মিলের অধিগ্রহণ করা জমিতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় সংঘর্ষ হয় চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী এবং সাঁওতালদের মধ্যে। এসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তিন সাঁওতাল। আহতও হয় অনেকে।
সুগার মিলের এমডি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব ঘটনার আলামত নষ্ট করেছেন, এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করে। চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, শিল্পসচিব, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা সদর থানার ওসিসহ বিবাদীদের।
রিট আবেদনকারী সুপ্রকাশ দত্ত নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ-সংঘর্ষের পর কোন আইনে ও ক্ষমতাবলে আলামত নষ্ট বা অদৃশ্য করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। উকিল নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। জবাব না পেয়ে এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত। সম্পদনা: হামিদুর রহমান