দুই নারী জঙ্গির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি : কারাগারে প্রেরণ
আজাদ হোসেন সুমন: রাজধানীর আশকোনার জঙ্গি আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণকারী দুই নারী জঙ্গি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন, রূপনগর পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা ও জঙ্গি নেতা মুসার স্ত্রী উম্মে আয়েশা ওরফে তৃষ্ণা মণি।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত এ দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণের পর তাদের দুই দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। জিজ্ঞাসাবাদে তৃষ্ণামণি স্বীকার করেন জঙ্গি স্বামী মুসার প্ররোচনায় তিনি জঙ্গি কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েন। এটা স্বীকার করার পাশপাশি তিনি পুলিশকে নানা তথ্য দিয়েও সহায়তা করেন। কিন্তু মেজর জাহিদের স্ত্রী প্রথম দিকে তথ্য দিতে গড়িমসি করলেও এক পর্যায়ে স্বামী মেজর জাহিদুলের প্ররোচনায় জঙ্গিতে জড়ানোর কথা স্বীকার করেন।
গতকাল সোমবার ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক সায়েদুর রহমান। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে দক্ষিণখানের পূর্ব আশকোনায় ৫০ নম্বর ‘সূর্যভিলায়’ জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। অপারেশন রিপল ২৪ নামের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। তারা হলেন- জঙ্গি সুমনের স্ত্রী শাকিরা এবং আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদরীর কিশোর ছেলে আফিফ ওরফে শহীদ ওরফে আদর কাদরী। ওই ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় মামলাটি দায়ের করে। এই ঘটনায় আটজনকে আসামি করা হয়। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণামণি পুলিশকে এক পর্যায়ে জানিয়েছে-মেজর জাহিদের স্ত্রী বিধবা হওয়ায় মুসার চোখ পড়ে তার দিকে। সে জেবুন্নাহার শীলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে শীলা রাজিও হয়। আগামী দুইমাস পর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে শীলাকে বিয়ে করার কথা ছিল। এ নিয়ে মুসার সাথে তৃষ্ণামণির তর্কবিতর্কও হয়েছে একাধিকবার। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু