কাদের চাপে ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তন, জানতে চায় বিএনপি
শাহানুজ্জামান টিটু: বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন বিদেশি ও দেশের চাপে তারা ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তন করেছে। আমরা জানতে চাই, এটা কোন বিদেশ? কাদের চাপে ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তন। তিনি বলেন, আমি ভালো মন্দ বলতে চাই না। ইসলামী ব্যাংক এমন কী সমস্যা তৈরি করেছে, যার জন্য তাদের পরিচালনা পর্ষদকে নতুন করে গঠন করতে হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের নানা কর্মকা-ের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে গণতন্ত্র ও নির্বাচন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। দেশে দুই ধরনের আইন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্য আরেকটি হচ্ছে রেস্ট অফ দ্য পিপলস এর জন্য। পুলিশকে দিয়ে এটা বলে দিলেই হয় আওয়ামী লীগের একটি অন্যদের জন্য আরেক আইন চলবে।
সরকারের নানা কর্মকা-ের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এরশাদকে জোর করে নির্বাচনে রাখা হয়, সরকার মিথ্যাচার করছে, মধ্যম আয়ের দেশের বিপরীত চিত্র ভিন্ন, রেমিটেন্স কমেছে, বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না, ব্যাংকিং সেক্টরে দুরাবস্থা, নতুন ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স কোম্পানি মালিকানায় সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা, কলেজছাত্রী খাদিজা, তনু ও সাগর-রুনি, বিদেশি নাগরিক তাবেল্লা হত্যাকা-ের বিষয়গুলো সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। ব্রাক্ষণবাড়িয়া হামলা, সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একে অপরের মুখোমুখি করা, প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন, কর্মসংস্থানের অভাব, বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলেন মহাসচিব।
৫ জানুয়ারি বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়া সম্পর্কে ফখরুল বলেন, দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে, এমন কি এরশাদের জাতীয় পার্টিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পর থেকে এ পর্যন্ত ৭বার অনুমতি চেয়ে আমরা তা পাইনি।
ভারত থেকে ১৮টি কুকুর আমদানি করা হয়েছে এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য ভারত থেকে প্রশিক্ষিত কুকুর আনা হয়েছে এটা ভালো কথা। কিন্তু সীমান্তে যখন প্রতিনিয়তই হত্যা হচ্ছে তখন এ সরকার কথা বলে না।
ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ অলিতে গলিতে স্থাপন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানেরও কোনো জবাবদিহিতা নেই। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, ভয়টা কিসের, বিএনপি যদি এতই দুর্বল হয় তবে কেন মিছিল মিটিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ বিএনপি যদি সত্যিকার অর্থে বেরিয়ে পড়ে তাদের সামাল দেওয়া যাবে না। সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলকে আপনারা সভা-সমাবেশ করতে দেবেন না। অথচ আপনারা রেগুলারলি রাস্তায় নামছেন। গত ৫ জানুয়ারিও ঢাকায় ২/৩ জায়গায় সমাবেশে করেছেন, মিছিল করেছেন। আর আপনারা আমাদের রাস্তায় বেরুতে দেবেন না, মানববন্ধন করতে দেবেন না, আমাদের ছেলে-মেয়েদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেন। সম্পাদনা: ইসমাঈল হুসাইন ইমু