ব্যয় ৫৬৫ কোটি টাকা পার্বত্য ৩ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প একনেক সভায়
সাইদ রিপন: পার্বত্য অঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এ লক্ষ্যেই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আজকের সভায় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২০ সালের মধ্যে ২৩০০০ মে.ও. ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০০০০ মে.ও. বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ১৪,২০০ কি.মি. বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনসহ ১১৫টি সাব-স্টেশন স্থাপন/আধুনিকায়ন ও ১৪ লাখ নতুন গ্রাহক সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই বিদ্যুতের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রকল্পটি উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বিধায় এটি ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন অর্জিত হবে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মোট ৫৬৫.৬৮ কোটি ব্যয়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকে বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় ২৬টি উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ১৩,১৯০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বর্তমানে জনসংখ্যা বাস করে ১৪ লাখ। এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে জন্য সমাদৃত এ পাহাড়ি এলাকাটি পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। শিল্পকারখানা গড়ে উঠার সুযোগ রয়েছে। এজন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। বর্তমানে এ অঞ্চলে ৮৬,৫৬৪ সংখ্যক গ্রাহকের জন্য লোড চাহিদা রয়েছে ৫৪.৫০ মে.ও.। বাৎসরিক লোড চাহিদা বৃদ্ধির হার ১১.৫০ শতাংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে এ এলাকার লোড চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৭৯ মে.ও. ও গ্রাহক সংখ্যা হবে প্রায় ১৭৩,১২৮ জন।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছেÑ ১২টি নতুন ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন নির্মাণ, ৪টি বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি পুরাতন সাব-স্টেশন সংস্কার ও ক্ষমতা বর্ধন, ১৩১০ কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন স্থাপন, ৩৪৬ কিলোমিটার পুরাতন বিতরণ লাইন সংস্কারসহ আরও অনেক কাজ করা হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু