ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হ্যাকিং নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট আমলে নিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান জোসেফ ক্ল্যানসি বলেছেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। তবে, রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান। অন্যদিকে, রাশিয়াকে ইউরোপ থেকে হটাতে মার্কিন সেনাবাহিনী আরও কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে।
রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রেইন্স প্রিবাস গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ট্রাম্প নির্বাচনে সাইবার হামলার মাধ্যমে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টকে গ্রহণ করেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন রাশিয়া ডেমোক্রেট পার্টির কম্পিউটারে সাইবার হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্প এক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারেন বলে জানান প্রিবাস। প্রিবাসের এই বক্তব্য ট্রাম্পের রাশিয়ার নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও একদিন আগে শনিবারও ট্রাম্প রাশিয়া বিরোধীদের নির্বোধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাশিয়া হ্যাকিং করেছে সেটা তিনি মানতে রাজি নন। এমনকি হ্যাকিংয়ের কথা বলে তার জয়কে অবমাননা করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তবে এই প্রথম ট্রাম্প শিবিরের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রাশিয়ার হ্যাকিংয়ের বিষয়টি ট্রাম্প মেনে নিয়েছেন বলে জানালেন। প্রিবাস আরও জানান, ট্রাম্প হ্যাকিংয়ের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার সুপারিশ জানাতে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে ট্রাম্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি প্রিবাস। প্রিবাস রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান। সূত্র: রয়টার্স, ইত্তেফাক। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি