বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি ও টিউশন ফি একটি নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। দেশের বাস্তবতা ও জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৭-এ এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম খরচে পড়াশুনার প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে উত্তরা ইউনিভার্সিটি উত্তরোত্তর উন্নতি করবে। এসময় তিনি আরও বলেন, সরকার পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। সব শিক্ষার্থীই ভবিষ্যৎ। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে এবং জনগণ ও দেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার কথা ভুলে গেলে চলবে না বলে মনে করিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান, তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। তিনি বলেন, শুধু শিক্ষা ও জ্ঞান দান বা অর্জনই শেষ কথা নয়, প্রকৃতপক্ষে দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা,জ্ঞান,দক্ষতা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত পরিপূর্ণ মানুষ তৈরিই আমাদের কর্তব্য।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক বিরাট সম্ভাবনাময় উচ্চ শিক্ষার খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। এরইমধ্যে এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় প্রায় ১ লাখের বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠান মান বৃদ্ধি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৬শ ৩০জন বিদেশি শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। এটা বাড়বে এবং তা নির্ভর করছে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা অর্জনের উপর।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পর পর দুটি নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে রায় দিয়েছে জনগণ। দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদতাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই জনগণ এ সরকারকে নির্বাচিত করেছে বলে জানান তিনি। এই রায় বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার সুস্পষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর এমিরেটাস ডক্টর আনিসুজ্জামান, বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং ভারতীয় পার্লামেন্টের মাননীয় সদস্য শ্রীমতি দেব ভর্মা,বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান,উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর এম আজিজুর রহমান, প্রোভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর ইয়াসমিন আরা লেখা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা,ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু