বিপ্লব বিশ্বাস: এবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন চমক দেখাবেন বলে মনে করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আড়াই মাস পরও নতুন কমিটি নিয়ে দৃশ্যত কোনো তৎপরতা দেখা না গেলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই।
চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন খালেদা জিয়া। এতে চমক থাকবে। ১০ নেতার মধ্যে থেকে সুপার ফাইভ চূড়ান্ত করার অনানুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, সংগঠনের ভিতরে-বাইরে ক্লিন ইমেজ আছে তারাই কমিটিতে স্থান পাবেন। ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যোগ্য ও দক্ষ নেতাদের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এদিকে নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদে অনেকের নাম শোনা গেলেও মূলত আলোচনা হচ্ছে ১০ জনকে ঘিরে। এর মধ্যে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের মধ্যে যেকোনো একজনকে নতুন কমিটির শীর্ষ পদে রাখার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এছাড়া সুপার ফাইভে যাদের নাম আলোচনা রয়েছে তারা হলেন দলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, ইখতিয়ার কবির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদ্জ্জুামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, মিয়া রাসেল, মেহবুব মাসুম শন্ত, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ।
নতুন কমিটি নিয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান জানান, সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন চাইবেন তখনই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার কেবল বিএনপি চেয়ারপারসনের বলেও জানান তিনি। ছাত্রদলের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সদ্য সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে ম্যাডাম এখনো নির্দেশনা দেননি। যখনই নির্দেশনা দেবেন তখনই কমিটি গঠনের মূল কাজ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে যারা নতুন কমিটিতে পদ পেতে চান তারা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দুঃসময়ে দলের পাশে না থাকা নেতারাও সুপার ফাইভে পদ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ তদবির অব্যাহত রেখেছেন। সম্পাদনা: এনামুল হক