এইচএম দেলোয়ার: একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হযরত (র.) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে তুলকালাম কা- ঘটেছে। এ ঘটনার জের হিসেবে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএন পুলিশ ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে দুই সংস্থার বৈঠকের পরও বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে , সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে কাস্টমস হলের গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএন পুলিশের সিভিল টিমের সদস্য কনস্টেবল রফিক জনৈক বিদেশ ফেরত যাত্রীর গতিরোধ করে তার পাসপোর্ট ও শুল্ক রসিদ পরীক্ষার নামে ওই যাত্রীকে হয়রানি করতে থাকে। এ সময় কাস্টমসের এক কর্মকর্তা পুলিশের ওই কনস্টেবলকে তুমি বলে সম্বোধন করেন। এতে বিষয়টি তার গায়ে লাগে। ওই কনস্টেবল বলতে থাকেন আপনি আমাকে তুমি বললেন কেন? এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিষয়টি পুরো বিমানবন্দরে চাউড় হয়ে যায়। দুই সংস্থা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে শুল্ক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক এক সিদ্ধান্তে অলিখিত কর্মবিরতি শুরু করে দেয়। রাতভর শুল্ক কর্তৃপক্ষ বিদেশ ফেরত কোনো যাত্রীর থেকে পণ্যের শুল্ক আদায় করেনি বলে সূত্রে জানা গেছে।
কাস্টমসের ‘বি’ পালায় কর্মরত শুল্ক অফিসাররা ও স্টাফরা রাতভর ডিউটি শেষে সকালে বিমানবন্দর ছেড়ে যাবার সময় আরেক দফা চড়াও হয় এপিবিএন পুলিশ। পুলিশ শুল্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের নিজস্ব ব্যবহৃত ব্যাগ ও মানিব্যাগ চেক করতে উদ্যত হয়। পরে বিভিন্ন সংস্থার সমঝোতায় বিষয়টি আর বেশিদূর এগোয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ‘বি’ পালায় কর্মরত কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) ওমর মবিন জানান , এপিবিএন পুলিশের গোয়েন্দা টিমের সদস্য রফিক বিদেশ ফেরত জনৈক যাত্রীর পাসপোর্ট ও শুল্ক রসিদ চেক করাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। তবে তিনি কাস্টমসের কর্মবিরতির কথা অস্বীকার করে বলেন, দুই সংস্থার মধ্যে সমঝোতা বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হবে।
এপিবিএনের ইন্সপেক্টর আব্দুল গনি জানান, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেলসহ বিভিন্ন গেট দিয়ে কাস্টমস-পুলিশ সমঝোতায় চোরাচালানি পণ্য পাচার হয়ে থাকে। দুই সংস্থার মধ্যে কেবল ভাগভাটোয়ারাজনিত বিষয়ে ফাটল ধরলেই অনেক সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে থাকে । ইতিপূর্বেও কাস্টম-এপিবিএন পুলিশের মধ্যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছিল এবং দুই সংস্থার মধ্যে সমঝোতাও হয়েছিল। ওই সময়কার ঘটনার জের ধরে এপিবিএনের দুজন এএসপিকে বিমানবন্দর থেকে বদলিও করা হয়। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু