আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে পাঁচ দিনে নিখোঁজ হয়েছে অন্তত চার জন। বুধবার থেকে খোঁজ নেই ওয়াকাস গোরায়া ও ওয়াসিম সইদের। বাকি দু’জনকে সলমন হায়দার ও আহমেদ রাজা নামে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আনন্দবাজার
পরিবারের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ লেখালেখির দায়ে গুম করা হয়েছে চার জনকে। আদৌ তারা বেঁচে রয়েছেন কি না, জল্পনা চলছে। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ সলমন হায়দার দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রের ব্লগার। বালুচিস্তানে পাক-প্রশাসনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে লিখেছেন তিনি। এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবু আশঙ্কা কাটছে না। পাকিস্তানের কট্টর ধর্মীয় নীতির বিরুদ্ধেও মুখ খোলার ‘অপরাধে’ মাস সাতেক আগেই করাচিতে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান মানবাধিকার কর্মী তথা প্রাক্তন সাংবাদিক খুররম জাকি।
সলমনদের নিখোঁজ-রহস্য নিয়ে তাই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ার বড় অংশ। খুররম খুনে তালিবানের দিকে আঙ্গুল তুলেছিল ইসলামাবাদ। হায়দরাবাদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পাক-প্রশাসনকে দুষছেন একাংশ। যেমন, রাজা রুমি। প্রাণের দায়ে ২০১৪ থেকে দেশছাড়া এই মানবাধিকার কর্মীর কথায়, ‘টিভির পর এবার ডিজিটাল দুনিয়াতেও নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে সরকার।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ