কামরুল আহসান: মেয়ের জামাই জ্যারেড কুশনারকে নিজের জ্যেষ্ঠ সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের সময় থেকেই জেরার্ড কুশনার ট্রাম্পের একজন প্রধান উপদেষ্টা হয়ে কাজ করছেন। ট্রানজিশন টিমেও ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তার সুযোগ্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ট্রাম্প সত্যিই তার উপর খুব সন্তুষ্ট। জামাতাকে নিয়োগ দেওয়ার আনন্দে বললেন, ‘জেরার্ড আমাদের জন্য একটা বিরাট সম্পদ, আর বিশ্বাসী একজন উপদেষ্টা, নির্বাচন প্রচারণাকালীন ও ট্রানজিশন টিম গঠন সময় থেকেই তার যোগ্যতার পরিচয় পেয়ে আসছি, আমি আমার দলে তার সুযোগ্য নেতৃত্ব পেয়ে সত্যিই খুব গর্বিত। একজন সুযোগ্য ব্যবসায়ীর মতোই সে রাজনীতিতেও দুর্দান্ত সফল।
কুশনারও নিজের নিয়োগপ্রাপ্তি নিয়ে অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা সুযোগ আমার দেশকে সেবা করার। আমি আমার সর্বোচ্চ মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবো। কিন্তু, ডেমোক্রেট আইনজীবীরা কুশনারের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। প্রেসিডেন্টের স্বজনপ্রিয়তার বিরুদ্ধে আইন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই আইন এবং স্বার্থের সংঘাতের সম্ভাবনা উল্লেখ করে ঘোষণার পরপরই ডেমোক্রাটরা এই নিয়োগ পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, অন্য খবর হচ্ছে জামাতা কুশনার ট্রাম্পের দলে থাকলেও থাকছেন না মেয়ে ইভানকা। ইভানকা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পিতার রাজনৈতিক দলের কোনো দায়িত্বে থাকছেন না। সবাই আশা করছিল ইভানকাই পালন করবেন ‘ফাস্ট লেডি’ দায়িত্ব। হোয়াইট হাউসের ‘ফাস্ট লেডি’র অফিস তার জন্যই সংরক্ষিত। সেখানে যাচ্ছেন না ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া। ১০ বছর বয়সী পুত্র ব্যারনকে নিয়ে তিনি থেকে যাবেন নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারেই। আর ইভানকারও তিনটি সন্তান। যাদের বয়স মাত্র ৯ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে। এদের সামলে পিতার রাজনৈতিক দলে তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। এর সঙ্গে বাবার ব্যবসার বিশাল একটা অংশ তাকে সামলাতে হয়। তা ছাড়া পরিবেশ ও নারী উন্নয়নবিষয়ক নিজের কিছু কাজও আছে। যদিও এর আগে পিতার নির্বাচনকালীন এবং ট্রানজিশন টিম গঠনর সময় তার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখে সবাই আশা করেছিলেন তিনিই হবেন ট্রাম্পের প্রধান কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদ দখল করে থাকবেন। এখন আর সেই সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন ইভানকা। দ্য হিল। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি