কামরুল আহসান: হতে পারে তারা বড় তারকা। বিশ্বজুড়ে আলোড়িত। কিন্তু, একটা সামান্য ব্যাপার নিয়ে তারা দিনের পর দিন মানুষকে বিরক্ত করবে? দুদিন পরপর তারা একেকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে উঠে আর সংবাদমাধ্যমগুলো সেগুলো প্রচার করার জন্য উঠেপড়ে লাগে।
মানুষ কি এসব পড়ে? সত্যিই কি তাদের দাম্পত্য জীবনের ছাড়াছাড়ি নিয়ে মানুষের এত মাথাব্যথা? না হয় ব্রাড পিট ছেলেকে একটু বকাবকি করেছেন, এমন তো আমাদের বাবারা ধরে আমাদের কতই মেরেছেন, তাতেই একেবারে ছাড়াছাড়ি করে ফেলতে হবে!
আর না হয় ছাড়াছাড়ি হলোই, তারপর সন্তানের রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব কে কীভাবে পাবে তা নিয়েও দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিতে হবে? সেটা নিয়ে এফবিআই পর্যন্ত তদন্ত করতে হবে? তদন্ত করে দেখা গেছে প্রাইভেট প্লেনে বসে ব্যাড পিট আসলে পালিত সন্তান ম্যাডক্সকে মারধর করেননি, একটু বকাঝকা করেছেন। তাতেই অ্যাঞ্জেলিয়া জোলি পিটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সন্তানদের নিয়ে একা হয়ে গেছেন।
এরপর পিট নানাভাবে আইনপ্রয়োগ করেছেন সন্তানদের অধিকার ফিরে পেতে। জোলি তাকে শুধু আইনগত অধিকার দিয়েছেন সন্তানদের ভালো-মন্দের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু, সন্তানদের রেখেছেন নিজের কাছেই।
পিট মাঝে মাঝে গিয়ে দেখা করতে পারতেন। এবার দুজন মিলেই সিদ্ধান্ত নিলেন এসব বিষয় নিয়ে তারা আর খোলাখুলি আদালতে শরণাপন্ন হবেন না। তাদের নিজস্ব আইনি উপদেষ্টারা সেগুলো নিজের মতোই দেখবেন।
তারা এ নিয়ে একটি চুক্তিও সম্পন্ন করেছেন যে পরিবার ও সন্তানদের ব্যক্তিগত অধিকার সম্পর্কিত সব আইনি তথ্য তারা গোপন রাখবেন এবং সেগুলো এখন থেকে ব্যক্তিগত আইনজীবী দেখবেন। কত দ্রুত আটকে থাকা ঝামেলাগুলো নিষ্পত্তি করা যায়।
এতে হয়তো তাদের পুনর্মিলনের আভাস দেখা যাচ্ছে। পিট আবারও জোলির সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে একসঙ্গে বাস করতে চান। যদিও জোলি এখনো সেরকম কোনো ইঙ্গিত দেননি। এখন এই খবর পড়ে আপনার কেমন লাগল? আপনি তাদের ভক্ত হলে আপনার নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।
অপেক্ষা করবেন তাদের পরবর্তী খবরের। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়। এও এক বাস্তবের সিনেমা! শুধু তাদের ছবি দেখেই মুগ্ধ হবেন কেন? তাদের জীবনও এরকম রূপালী ফিল্ম। সিএনএন অবলম্বনে