গুরুত্বপূর্ণ পল্লী সড়কে ১২৮টি সেতু নির্মাণসহ ৯ প্রকল্পের অনুমোদন একনেক সভায়
সাইদ রিপন: পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণসহ ৯ নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভাশেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরের গত ছয় মাসে ১৬টি একনেক সভায় ১৩১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮শ ৮৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ১৭টি সভায় ১২৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেই সমস্ত নদী নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য খনন করা হবে, সেই নদীগুলোর অপসারিত পলি দিয়ে ব্লক ইট তৈরি করার প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হওয়া যাবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই এ কাজ শুরু হবে। একই ছাদের নিচে গণযোগাযোগ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর ও ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের গণযোগাযোগ কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে তথ্যভবন নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিখামার যান্ত্রিকীকরণ করার মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আগামীতে কৃষি উন্নয়নে আরও নতুন নতুন প্রযুক্তির যান্ত্রিকীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুন:খনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নব সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু