রাশিদ রিয়াজ: তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় পারমাণবিক হামলা করতে পারে এমন হুমকিকে আমল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে এধরনের হামলা ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। উত্তর কোরিয়া যদি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তাহলে তা কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পূর্বে তাতে পাল্টা আঘাত হানা নাও যেতে পারে। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন গত রোববার বলেছেন, যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে তার দেশ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম।
এরই প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন মনে করছে
উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর পথিমধ্যে তাতে পাল্টা আঘাত হানা যাবে না। পেন্টাগন স্বীকার করেছে, উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে আকাশেই পাল্টা আঘাত করার মতো সক্ষমতা নেই। পেন্টাগন আরও বলছে, আদতেই উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে পাল্টা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমেরিকার নেই।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশ কার্টার দাবি করেছেন, কিমের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করার মতো প্রতিরক্ষা শক্তি অর্জনে আরও কিছু শেখার আছে। তিনি বলেন, যদি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি দেয়, তাহলে তা প্রতিরোধ করা হবে। যদি হুমকি না দেয় তাহলে প্রতিরোধ করার মতো কিছু নেই। কারণ এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই পাল্টা আঘাতের ব্যবস্থা করা আমাদের জন্যে আগাম হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, আকাশে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে এসে আঘাত হানার মতো শক্তি আছে কিনা তা পরখ করা বা পাল্টা আঘাতের শক্তি অর্জন করা অপ্রয়োজন, কারণ এ ধরনের শক্তি বা হুমকি এখনো আসেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে হলে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রকে সাড়ে ৫ হাজার মাইল উড়ে আসতে হবে। এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার ক্ষমতা এখন পর্যন্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪’শ মাইল। তবে কোনো কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ৬ হাজার ২’শ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে।সম্পাদনা: সুমন ইসলাম