সততার সঙ্গে কাজ করতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশ সরকার ক্ষমতা ভোগ করতে আসে না, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সরকার হওয়ার বা জনপ্রতিনিধি হওয়া শুধু ক্ষমতা ভোগ করার জন্য নয়। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের কথা তুলে ধরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের বলেন, সরকারের এই উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে আপনাদেরও কাজ করতে হবে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করুন।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে নতুন নির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের শপথ অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের মতো আপনাদেরও মূল লক্ষ্য হলো মানুষের সেবা করা। নিষ্ঠা, একাগ্রতার সাথে আপনারা স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল পেতে শুরু করেছে জনগণ। আপনারা সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আপনাদের সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এদেশের মানুষ যদি ক্ষুধার্ত ও অশিক্ষিত থাকে, তারা যদি রোগে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়, তাহলে সোনার বাংলাদেশ গড়া কখনই সম্ভব না। তিনি বলেন, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও শপথ যথাযথভাবে জাতির সেবায় নিবেদিত হতে হবে। এদেশের মানুষ দীর্ঘদিন শোষিত ও বঞ্চিত ছিল। গত আট বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের খোঁজখবর রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজ নিজ জেলায় উন্নয়ন কাজ যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা- সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কী কী করলে আরও উন্নয়ন করা যায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। আপনাদের অনেক কাজ। অনেক বাধা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে উন্নয়নের মহাসোপানে পা রেখেছে বাংলাদেশ। এটা যেন আর পেছনের দিকে না যায়।
শপথ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলায় গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো নির্বাচনের আয়োজন করা হলেও আদালতের আদেশে কুষ্টিয়া ও বগুড়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত হয়। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত ২১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ভোটের আগেই। ভোটের দিন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহীরা জেতেন ৩৮ জেলায়। প্রতি জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হন এ নির্বাচনে। জেলা পরিষদের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যরা আগামী ১৮ জানুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ নেবেন।