ট্রেনে মারধরের পর বিবস্ত্র করা হলো কিশোরীকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চুরির অভিযোগে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে পেটানোর পর বিবস্ত্র করা হয়েছে ভারতের একটি ট্রেনে। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের পর ওই তরুণীর মাথার চুলও মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের হাওড়া-যোধপুর ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ট্রেনটি ফিরোজাবাদ স্টেশন থেকে তন্দুল যাচ্ছিল।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ফিরোজাবাদ স্টেশন থেকে ওই কিশোরী আরেক আত্মীয়ের সঙ্গে ট্রেনটিতে ওঠেন। কিন্তু ট্রেন কিছুদূর যাওয়ার পর একজন যাত্রী ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে ব্যাগ চুরির অভিযোগ জানান। এর পর ট্রেনের যাত্রীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর জামাকাপড় খুলে ফেলা হয়।
এর পর ট্রেনটি তন্দুল স্টেশন পৌঁছার আগে ওই তরুণীর চুল কেটে মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হয়। চিৎকার শুনে ট্রেনের কর্তব্যরত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন ট্রেনের কর্মকর্তারা। এদিকে নির্যাতিত ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের মস্তিষ্কে টিউমার রয়েছে। ফলে তার আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে। কিন্তু তাঁর মেয়ে চুরি করতে পারে না। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশে। তাদের মধ্যে ওই ট্রেনের এই কর্মকর্তাও আছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
পরমাণু যুদ্ধের ‘দ্বিতীয় হামলা’পাকিস্তান এবং ভারতের অবস্থান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান চলতি মাসের ৯ তারিখে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া বা এসএলসিএমের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এসএলসিএম বাবর-৩ নামের ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যদিয়ে দেশটি ‘দ্বিতীয় হামলা’ চালানোর বিশ্বাসযোগ্য সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে পাক সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এতে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্ধি ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পরমাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি করা হয়। পার্সটুডে
পাকিস্তানের এ দাবি সত্ত্বেও ‘দ্বিতীয় হামলা’র সক্ষমতা দিক থেকে ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে বলে প্রতিরক্ষা বিষয়ক অন্যান্য খবর থেকে জানা গেছে। যুদ্ধের সময় শত্রুর হামলায় স্থলভাগের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেলেও সাগরে থাকা সাবমেরিন থেকে চালানো পাল্টা পরমাণু আক্রমণকে ‘সেকেন্ড স্ট্রাইক’ বা ‘দ্বিতীয় হামলা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। দেশীয়ভাবে এসএলসিএম বাবর-৩ তৈরি করা হয়েছে বলে পাকিস্তান দাবি করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি পানির তলের ডুবোজাহাজ থেকে ছোঁড়ার পর নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন পাক সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ