কামরুল আহসান: দুর্নীতির দায়ে সন্দেহভাজন ছিলেন স্যামসাংয়ের বর্তমান প্রধান নির্বাহী লে জে ইয়ং। এবার প্রসিকিউটরের অফিসে নিশ্চিতভাবেই তার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ‘এই ঘটনায় আমাদের সুন্দর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত।’ ঘটনার শুরু অনেক আগে। ঘটনার পেছনে প্রধান যিনি কলকাঠি নেড়েছেন তিনি হলেন- দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিয়ন হাইয়ের বান্ধবী চুই সুন-সিল। প্রেসিডেন্ট পার্ক হাইকে হাত করে রাষ্ট্রীয় সুবিধা আদায় করেছিরেন চুই সুন-সিল।
কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানির কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশাল অংকের অনুদান আদায় করেছিলেন। সেই অভিযোগে প্রেসিডেন্ট হাইয়েরও অভিশংসন নিতে হয়েছে। এবার প্রমাণ হলো যে, সব প্রতিষ্ঠান চুই সুন-সিলকে অনুদান দিয়েছিল তার মধ্যে আছে স্যামসাংও।
আর স্যামসাং এ কাজ করেছে চুই সুন-সিলের হাত ধরে রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাওয়ার জন্য। চুই সুন-সিলের চিল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তারা বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকা- সম্পন্ন করেছে। চুই সুন-সিল এবং তার মেয়েকে স্যামসাং অনুদান দিয়েছে ৩.১ মিলিয়ন ডলার। এর পেছনে প্রেসিডেন্ট পার্কেরও হাত ছিল।
রাষ্ট্রীয় সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে স্যামসাংয়ের প্রধান নির্বাহীর এমন কাজে কোম্পানির কর্মচারিরাও ক্ষুদ্ধ। তাদের অভিযোগ প্রধান নির্বাহী নিজেই কোম্পানির সম্মান ক্ষুণœ করলেন। অবশ্য আরও আগে থেকেই লে জে-ইয়ং-এর বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ ছিল।
তাদের মতে লে জে-ইয়ং-এর স্যামসাং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হওয়ার কোনো যোগ্যতাই নেই। তার কোম্পানির বস হয়েছেন শুধুমাত্র পৈত্রিক উত্তরাধিকারীর সূত্রে।
লে জে-ইয়ং-এর দাদা বাইয়াং-চুল স্যামসাং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। তারপর লে জে-ইয়ং-এর বাবা কুন-হি ছিলেন দীর্ঘকাল এই কোম্পানির দায়িত্বে। কুন-হি অবসর গ্রহণ করার পর লে জে-ইয়ং দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বিবিসি