সাইদ রিপন: আইসিটি শিল্পের বিকাশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৮টি আইটি পার্ক নির্মাণ করা হবে। এই আইটি পার্কগুলো বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশীয় আইসিটি শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পার্কগুলো ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার ও আইটি পেশাজীবীদের সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীত করা এবং জিডিপিতে আইসিটি খাতের অবদান ৫ শতাংশ নিশ্চিত করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আইসিটি কাউন্সিল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভালো চারা রোপণ না করলে ভালো বৃক্ষ পাওয়া যায় না। তাই ভালো বৃক্ষ পেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এজন্য আমরা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অন্যান্য বিষয়ের সাথে আইটি বিষয়ক বই বাধ্যতামূলক করেছি। এর ফলে একজন শিক্ষর্থী গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার সাথে সাথে আইসিটি বিষয়েও দক্ষ হয়ে যাবে। আর এভাবেই আমাদের আইটি খাত হতে প্রবৃদ্ধির হার দিন দিন বাড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়াও আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ২ লাখ আইটি মানবসম্পদ গড়ে তুলবো। ২০১৮সালের মধ্যে সারা বাংলাদেশে ইনফো সরকার -৩ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি গ্রামে একটি করে ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। এই লক্ষ্যে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যা গত ২২ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৬শ ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল সংযোগের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারে একটি করে পয়েন্ট অব প্রেজেন্স প্রতিষ্ঠা করা হলে গ্রামের মানুষ নিজ বাড়িতে বসেই ব্যবসা-বাণিজ্য, নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে গ্রামীণ জনপদের মানুষের দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও ডিজিটাল বৈষম্য রোধ সম্ভব হবে। এছাড়াও চীনের আর্থিক সহযোগিতায় স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি নামে নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, হাইটেক পার্ক অথরিটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেনে আরা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম