উম্মুল ওয়ারা সুইটি: যৌন নির্যাতনের শিকার কন্যার পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা যেমন সংকটে পড়ে। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো মামলার সাক্ষীদের হয়রানিতে পড়া। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে আসামি বেরিয়ে আসে। তারপরই শুরু হয় মামলা তুলে নেওয়ার চাপ। নির্যাতিত পরিবারের উপর চাপ দেওয়ার পাশাপাশি সাক্ষীদের উপর নেমে আসে খড়গ। সাক্ষীদের হুমকি ধমকি দেওয়া হয়। আবার সাক্ষী হওয়ার কারণে অনেককে এলাকা ছাড়তে হয়েছে।
পিরোজপুরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন জানান, তিনি পাশের বাড়ির এক ১৩ বছরের কিশোরীর যৌন হয়রানির ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন। তার প্রাথমিক সাক্ষ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আরও অনেকেই ঘটনা দেখেছেন। কিন্তু কেউই ভয়ে সাক্ষী দেননি। কিন্তু আমি এগিয়ে এসেছি। ভেবেছি সমাজের ভালোর জন্য নিজেরও কিছু দায়িত্ব থাকে। তিনমাস পর কিভাবে যেন আসামি জামিন পেয়ে বের হয়ে গেল। তারপর থেকে শুরু হয় আমার ও আমার পরিবারের উপর হুমকি। বার বার বলে সাক্ষ্য তুলে নিতে। আমি নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। তাতে কোনো কাজ হয়নি।
আরিফ বলেন, একদিন তার ২২ বছরের ছেলেকে পথে মারধর করে। আবার আমার পরিবার নিয়ে নানা ধরনের রটনা শুরু করে। এরপর আসে সামাজিক চাপ। আমি উপায় না দেখে ঢাকায় চলে এসেছি। এখন রিকশা চালাই। ছেলে ও মেয়ে গার্মেন্টে চাকরি করে। খুব মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমি চাই মামলাগুলো যেন সঠিক সময়ে ঠিকভাবে শেষ হয়। আর সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। না হয় আমার মতো সাক্ষীদের জীবনে নেমে আসবে অন্ধকার।