আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জেফ সেশনস মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস জানিয়েছেন, তিনি ওই পদে নিয়োগ পেলে বিদেশিদের চাকরির জন্য দেওয়া এইচ-১বি ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ করবেন। পিটিআই
গত ১৮ নভেম্বর সেশনসকে অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের জন্য মনোনীত করেন ট্রাম্প। তবে এই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায়, সেশনসকে সিনেটের শুনানিতে অংশ নিতে হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণার সময়েই জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসলে তিনি মার্কিনিদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়াবেন। সেই সঙ্গে বিদেশিদের চাকরি দেওয়ার বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এরই ফলশ্রুতিতে এইচ-১বি এবং এল-১ ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্পের মনোনীত জেফ সেশনস।
সিনেট শুনানিতে জেফ সেশনস বলেন, ‘আমরা এক সম্পূর্ণ মুক্ত বিশ্বে বাস করছি, আর এখানে কোনো মার্কিনিকে বিশ্বের অন্যস্থানের কারও দ্বারা অল্প বেতনে পরিবর্তন করে ফেলা যায়, এমনটা ভাবা একদমই ভুল।’
সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রধান চার্লস গ্রেসলির এক প্রশ্নের উত্তরে সেশনস আরও বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত রয়েছে। জনগণের সঙ্গে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে, আর এ সম্পর্কে আপনি একজন চ্যাম্পিয়ন।’ এর আগে এইচ-১বি ভিসায় কড়াকড়ি আরোপের ক্ষেত্রে গ্রেসলি ও সেশনস অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। সিনেট অনুমোদন দিলে সেশনস অভিবাসন বিষয়ক বিশেষ দফতরের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সেশনস বলেন, ‘কোনো কোম্পানিকে মোট কর্মসংস্থানের ৫০ শতাংশের বেশি বিদেশিকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।’
৬৯ বছরের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জেফ সেশনস একজন সাবেক কৌঁসুলি। ১৯৮৬ সালে এক বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে তিনি জুডিশিয়াল পদবী হারান। পরে ১৯৯৬ সালে সিনেটর নির্বাচিত হন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণায়ও তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। সেশনস মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল তোলার প্রস্তাবের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। এছাড়া তিনি অনিবন্ধিত অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়ার যে কোনো ধরনের প্রস্তাবের ঘোর বিরোধী। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ