এম রবিউল্লাহ: নোবেল বিজয়ী ও শিক্ষা অধিকার কর্মী পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফজাই
বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিনটি তার পছন্দের বিষয় বলে এই বিষয়গুলো পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মজার বিষয় হলোÑ এই বিষয়গুলো সাধারণত ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, বেসামরিক অধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের কর্মীদের পছন্দের বিষয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকে মালালা জানান, আমার সাক্ষাৎকারটি সহজ ছিল না। ফলাফলের জন্য আমাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো উদ্বিগ্নতার সঙ্গে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
পাকিস্তানি এই তরুণী অনেক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। শারজায় এক অনুষ্ঠানে মালালা বলেছিলেন, আগে আমি ভাবতাম মেয়েরা কেবল শিক্ষক ও গৃহিণীই হতে পারে। তবে যখন আমি দেখি আমাদের দেশের নারীই রোল মডেল তখন আমার চিন্তা শক্তি আরও প্রসারিত হয়।
বেনজির ভুট্টোর কথা স্মরণ করে মালাল বলেন, তিনি আমাদের দেশকে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বেনজির ভুট্টো একাধারে একজন শিল্পী, উদ্যোক্তা ও এটলেটিসও ছিলেন। সে যখন যা চায় তাই হতে পারে এই উপলব্ধি আমাকে বেশ উৎসাহিত করেছে। একজন চিকিৎসক থেকে যদি তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং সব ধরনের কাজ করতে পারে তা আমার পক্ষেও সম্ভব।
মালালা নারীদের অধিকারের কথা বলে তালেবানদের আক্রমণের শিকার হন। ২০১২ সালের অক্টোবরে মালালা পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার একটি স্কুল বাসে তালেবানদের নির্যাতনের শিকার হন। মালালাকে আক্রমণের ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক আলোচিত হয়। সেই থেকে মালালা আন্তর্জাতিক বিশ্বের নজর কাড়েন।
তিনি নারী শিক্ষার প্রসারণের জন্য একাধিক ব্লগ লিখে বিখ্যাত হন। ২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। শিক্ষা অধিকার আদায়ের জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পান। জিও নিউজ অবলম্বনে। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি