ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও নাঈমুল হাসান (টঙ্গি): টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। গতকাল বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমা শুরু হয়। ফজরের নামাজের পর উর্দুতে আমবয়ান করেন ভারতের হজরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খোরশেদ।
দেশের ১৭টি জেলা থেকে সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথসহ সব পথেই মুসল্লিদের কাফেলা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দিকে। বৃহস্পতিবার থেকে আসতে থাকা মুসল্লিদের ঢল গতকালও অব্যাহত থাকে। এ বছর প্রথম পর্বে ১৭টি জেলা অংশ নেওয়ায় চটের বিশাল সামিয়ানার নিচে মুসল্লিদের তেমন ঠাসাঠাসি নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিদের অনেকে মূল প্যান্ডেলের নিচে বসেই জুমার নামাজ আদায় করার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া জুমার নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের অনেকে প্যান্ডেলের ভেতরে জায়াগা পেলেও বেশিরভাগ মুসল্লি বাইরে নামাজ আদায় করেছেন। ফজর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জিকির আজকার ইবাদত বন্দেগীতে টঙ্গী এক পবিত্র পূণ্যভূমিতে পরিণত হয়।
বিদেশি মুসল্লি: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক রাষ্ট্রের ৬ হাজার ৮৮৭ জন মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। গাজীপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিশর, ওমান, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, কাতার, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইরানসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের মুসল্লিরা প্রথম পর্বের এবারের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, মুসল্লিদের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে বিদেশি মেহমানদের জন্য পৃথক বিদেশি নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দুদিনে ৫ মুসল্লির মৃত্যু: তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এবারের ইজতেমায় গত দুইদিনে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হলো। মৃতরা হলেন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার জানুফকির (৭০) ও সাতক্ষীরার আব্দুস সাত্তার (৬০)। এর আগে মানিকগঞ্জের সাহেব আলী (৩৫), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ফজলুল হক এবং কক্সবাজারের হোসেন আলী (৬৫) মারা যান। বার্ধক্যজনিত ও অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। সম্পাদনা: এনামুল হক