নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৪২/৭
(সাকিব ২১৭ ও মুশফিকুর রহিম ১৫৯)
এল আর বাদল: বৃহস্পতি আর শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের এই দুই দিনে বেশ কিছু প্রাপ্তি বাংলাদেশের। প্রথম দিনে বৈরি আবহাওয়া আর শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুমিনুল হক আর তামিম ইকবালের নান্দনিক ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৫৪ করে দিন পার করেছিল টাইগাররা। গতকাল দ্বিতীয় দিনে মুমিনুল হক আউট হওয়ার পর সাকিব আর মুশফিক ভেল্কিতে টাল মাটাল হয়ে যায় কিউই বোলাররা। এদিন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৫৪২ রানের রেকর্ড স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। পাশাপাশি সাকিব টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দ্বি-শতকের দেখা পান। দলনায়ক মুশফিকুর রহিম করেছেন ১৫৯ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস। সবকিছু নিয়েই বাংলাদেশ গতকাল ক্রিকেটে দারুণ এক মাইলফলকের দিন পার করল। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ওয়ানডে আর টি-২০ সিরিজে যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টাইগাররা, সেই খোলস থেকে এবার বেরিয়ে আসল মুশফিকের নেতৃত্বাধীন টেস্ট দল। এদিন ৩৮৮ রানের মধ্যে সাকিব ও মুশফিকের ৩৫৯ রানের পার্টনারশিপ ওয়েলিংটনের মাঠে ৪৪ বছরে বিভিন্ন দলের পার্টনারশিপের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। আজ তৃতীয় দিনে অসাধারণ এই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে টাইগার দলপতি ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠাবে নাকি নিজেরাই ব্যাট চালিয়ে যাবেন। রণকৌশলটা আজ মাঠে নামার আগেই স্থির করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন মুশফিকুর রহিম।
নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে ২০১০ সালে করা ৪০৮ রান ছাড়িয়ে সংগ্রহ ৫৪২ থেকে আরও বিশাল করার পথে আছে সফরকারীরা। এই প্রথম কোনো টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান ৫শ’র বেশি রান করলেন। তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক অর্ধশতক করে ফিরে যান। তবে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম পৌঁছান শতকে। ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে তামিম-ইমরুলের গড়া ৩১২ রানের জুটির রেকর্ড এদিন ভেঙে দিলেন সাকিব-মুশফিক। শুধু তা-ই নয়, নিউজিল্যান্ডের মাঠে এটি সফরকারী দলগুলোর যেকোনো উইকেট জুটিতে নতুন রেকর্ড। ভাঙলেন ৪৪ বছর পুরোনো জুটির রেকর্ড। এছাড়া ২০১৪ সালের পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এ দুজন। জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করার সিরিজে খুলনায় ১৩৭ রানের সে ইনিংসের পর আবারও তিন অঙ্কের দেখা পেলেন টেস্টের সাবেক র্যাঙ্কিং সেরা অলরাউন্ডার। মুশফিকের অপেক্ষা তো আরও বেশি, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর আর কখনো সেঞ্চুরি করে ব্যাট উঁচু করে দেখাননি টেস্টে। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচালেন তিনি। সম্পাদনা: এনামুল হক