সুতাং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
মো. জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সুতাং নদীর ‘গ’ অংশ হাইকোর্টের স্ট্যাটাস্কো নিয়ে নদীর ‘খ’ অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী একটি মহল। নদীর এক অংশ লিজের নামে মহাল নিয়ে অন্য অংশ থেকে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দেওরগাছ গ্রামের এক ব্যক্তি হাইকোর্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস্কোর আদেশ এনে সুতাং নদীর গ অংশ থেকে কয়েক মাস পুর্বে বালি উত্তোলন শুরু করেন। কিছুদিন পরই তিনি গ অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বালু না থাকায় তিনি অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করেন সুতাং নদীর খ অংশে। গত ১৫ দিন ধরে তিনি মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে তার মহালে এনে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বালু উত্তোলন করে চা বাগানের জমি নিয়ে আসছেন আমতলী এলাকায়। সেখান থেকে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বালু পাচার করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাক বালি যাচ্ছে বিবাড়িয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতি ট্রাক ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হিসেবে তিনি প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অথচ এ বালু মহাল থেকে সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। তিনি ক্ষমতাসীন দলের কয়েক নেতাকে ম্যানেজ করে এ অব্ধৈ ভাবে এ বালু বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এলাকার একটি বাহিনী তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে সুতাং নদীর বালু অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন।
প্রতিদিন অংখ্য ট্রাক্টর এ বালু পরিবহন করছে। নিয়ম অনুযায়ী সুতাং নদীর বালু উত্তোলনে কোন প্রকার মেশিন ব্যবহার করা যাবে না বলা হলেও তিনি এ আইন না মেনে ৫ থেকে ৬টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনে রাতে বালু উত্তোলন করছেন। সম্পাদনা : তারেক