ইভটিজিং প্রতিরোধে পাড়ায় পাড়ায় কমিটি গঠন করতে হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ইভটিজিং এখন সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে। গ্রামের চেয়ে শহরে ইভটিজিং বেশি হয়। বিভিন্নস্থান থেকে লোকজন এসে শহরে ভিড় করে। ফলে কেউ কাউকে চেনে না। কারও প্রতি কারও দায়িত্ব থাকে না। আর এই সুযোগে ইভটিজিং বাড়ছে। এতে যেমন মেয়েরা এবং মেয়ের অভিভাবকরা অস্বস্তিতে ভোগে। পাশাপাশি ছেলের বাবারাও থাকেন আতংকে। কখন কি অভিযোগে ছেলেটি গ্রেফতার হয় না কি অপরাধে জড়িয়ে পড়ে?
তাই সামাজিকভাবে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় ইভটিজিং প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা জরুরি।
ড. বদিউল আলম মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, পরিবারের ছেলে শিশুদের ইভটিজিং সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। অনেক সময় টিভি সিনেমা দেখে শিশু কিশোররা ইভটিজিং এর প্রতি ঝুঁকে পড়ে। তারা এর খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জানে না। অবচেতন মনেই ইভটিজিং করে থাকে। তাই একটু বড় হতে থাকলেই পরিবারের সদস্যদের উচিত ছেলে এবং মেয়েদের ইভটিজিং সম্পর্কে জানাতে হবে। ইভটিজিং এর ফলে একজন নারী বা মেয়েদের মনে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া পড়ে তা জানাতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ইভটিজিং এর ফলে একটি মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং অনেকে ইভটিজিং এর স্বীকার হয়ে মারাও গেছেন। এমন উদাহরণ রয়েছে অহরহ। তাই এটা সামাজিক সংকট। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সমাজকে অবশ্যই দায়িত্ব পালন করতে হবে। সম্পাদনা: এনামুল হক