ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও নাঈমুল হাসান টঙ্গী (গাজীপুর): জিকির, আসগার আর আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ তীর। গতকাল শনিবার ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন ছিল। আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরী মোনাজাত হবে। এছাড়া আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনব্যাপি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে যোগ দেবেন দেশের ১৬ জেলার মুসল্লিরা।
গতকাল ফজরের নামাজের পর থেকে বয়ান শুরু হয়। প্রচ- শীতেও মুসল্লিরা মুরব্বিদের বয়ান দৈর্য ধরেই শোনেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে গতকালও বিপুল পরিমাণ মুসল্লিরা এসেছেন ইজতেমায় যোগ দিতে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা বাংলাদেশ ও ভারতের তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীদের বয়ান শোনেন। এছাড়া অন্য দেশের মুরব্বীদের বয়ান বাংলায় বুঝিয়ে দেয়া হয়।
দু’দিন ধরে ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক ইবাদতে মগ্ন রয়েছেন লাখ লাখ দেশি-বিদেশি মুসল্লি। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আম বয়ান হচ্ছে। শনিবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত মুরুব্বিরা তাবলীগের ছয় ওছুলের মধ্যে দাওয়াতে দ্বীনের মেহনতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বয়ান করেন।
আরও এক মুসল্লির মৃত্যু : বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুক্রবার রাতে আরও এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ জনে। নিহত মুসল্লির নাম তারামিয়া (৫৫)।
তারা মিয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জগৎ সাহ গ্রামের বাসিন্দা। বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইজতেমার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সিসি টিভির মাধ্যমে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। আখেরী মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তারা এখানে দায়িত্ব পালন করবেন।
যৌতুকবিহীন বিয়ে: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হলেও গতবারের মতো এবারও হচ্ছে না যৌতুকবিহীন বিয়ে। ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিয়ে একটি আনন্দের অনুষ্ঠান। কিন্তু এখানে বিয়ে হলে পরিবারের সদস্যরা সেই আনন্দ করতে পারে না। তাই ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে না। এখন থেকে বিয়ের আয়োজন তাদের নিজ নিজ বাড়িতেই হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম