ইসি গঠনে সমঝোতা চায় বিএনপি, তাড়াহুড়ো করে আইন করলে প্রশ্ন উঠবে
শাহানুজ্জামান টিটু: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলো নিবার্চন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন করার প্রস্তাবনা দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি তাদের ১৩ দফা প্রস্তাবনায় নিবার্চন কমিশন গঠনে আইন করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেয়নি। তবে বিএনপির নীতিনির্ধাকদের মতে, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের আগে জরুরি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও আস্থা গড়ে তোলা। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন গঠনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা ফর্মূলা বের করা দরকার। এছাড়া বর্তমান যে সংসদ রয়েছে এই সংসদ প্রকৃত অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। অপরদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সময়ও স্বল্প। এই সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে কোনো আইন করা হলে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তবে বিএনপিও নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী একটি ব্যবস্থা চায়।
দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট আইন করার আগে দরকার সবার কাছে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন ও একটি দল নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন থাকা দরকার। কিন্তু বর্তমানে যে সংসদ এই সংসদ সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। আর রাষ্ট্রপতি তো আর আইন করবেন না। আইন করতে হলে জনগণের নির্বাচিত সংসদ আইন প্রণয়ন করবে।
বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারক নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির প্রস্তাবের মধ্যে একথাটা বলা আছে, এব্যাপারে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এই সংসদের কাছে আমার কোনো আইন প্রত্যাশা করি না। এখন যে ব্যবস্থা আছে, তাতে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
নজরুল ইসলাম বলেন, দরকার একটা নিরপেক্ষ সাহসী, কার্যকর নির্বাচন কমিশন এবং সেই নির্বাচন কমিশন যে দায়িত্ব পালন করবে যখন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে সে সময় যে সরকার হবে তা হবে নির্বাচন সহায়ক সরকার। কিন্তু সেই সরকারের চরিত্র হবে নিরপেক্ষ। সবার সঙ্গে যে আলোচনা হচ্ছে সেটা তো আমাদেরই প্রস্তাব। আলোচনা হচ্ছে সেটা ঠিক আছে। আর যা হওয়ার তা দ্রুতই হতে হবে। কারণ আমরা তো এই নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আগামী নির্বাচন কমিশনের জন্য না।
দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্য সংখ্যা কী হবে এটা মুখ্য বিষয় না। দুই, তিন, পাঁচ বা সাত বিষয় নয়। বিষয়টি হচ্ছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। যারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। সম্পাদনা: এনামুল হক