২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক নতুন মাত্রা পাবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন ভালো। এই পরিস্থিতি দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নিচ্ছেন। নতুন এই প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছে বর্তমান সরকার। সরকার মনে করে, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ধারায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ট্রাম্প ব্যবসায়ী হওয়ায় জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাছাড়া নেতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। বরং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক নতুন ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প নীতিগত বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন তাও দেখতে হবে।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গত কয়েক বছর ধরেই অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। সেই ধারাবাহিকতা রাখবে ট্রাম্প। দুদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে স্থগিত হওয়া জিএসপি সুবিধা চাইবো। তাছাড়া আরও নতুন নতুন বাণিজ্যের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত জমির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প অনেক কিছু বলেছিলেন। সেটা হতে পারে নির্বাচনি প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর সেগুলো তিনি মাথায় নেবেন বলে মনে হয় না। ট্রাম্প অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং সাংগঠনিক মানুষ। তিনি সফল ব্যবসায়ী। অভিবাসী নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন সেগুলোর বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ কেন অনেক দেশের সঙ্গেই সংকট তৈরি হবে। তবে। ট্রাম্প বাংলাদেশ ইস্যুতে পররাষ্ট্র নীতির খুব পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। আমরা জানি ট্রাম্প একজন বড় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ তার এই ব্যবসায়িক মনোভাব কাজে লাগানো। সরকারের এখন প্রধান কাজ হলো, ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া।
গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প।