আর্টিজান হামলা বাকি রইলো তিন
বিপ্লব বিশ্বাস: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত তিনজনকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। এদের একজনের নাম সাইদুল ইসলাম চকলেট। বাকি দুজনের নাম প্রকাশ করতে চায়নি বাহিনীটি। অবশ্য এরা কোথায় আছেন তার খবর পেয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
গত ১ জুলাই আর্টিজানে হামলাকারী পাঁচজনকেই সেনাবাহিনী হত্যা করে পরের সকালের কমান্ডো অভিযানে। তবে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেওয়া পাঁচজন রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস আহমেদ ও মীর সামীহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম এবং শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ছাড়াও আশেপাশে ছিলেন আরও কয়েকজন। এই অভিযানের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, জনবল সংগ্রহেও জড়িত ছিলেন এরা। এদের মধ্যে হামলার নাটের গুরু হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরী এবং নুরুল ইসলাম মারজান এবং হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন পুলিশের অভিযানে। সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার অন্যতম নাটেরগুরু হিসেবে চিহ্নিত সারোয়ার জাহানও প্রাণ হারিয়েছেন র্যাবের অভিযানে। পুলিশ যাকে এই হামলার পরিকল্পনাকারী বলছে সেই জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জীবিত ধরা পড়লেন। জাহাঙ্গীরকে আটকের বিষয়ে জানাতে গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি আর্টিজান হামলায় এখনো ধরা না পড়া তিনজনের কথা জানান। এদের মধ্যে সাইদুল ইসলাম চকলেটের নাম জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একজনের নাম প্রকাশ করলাম। তদন্তের স্বার্থে দুজনের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। তবে তারা কোথায় আছেন সেই খবর আমরা পেয়ে গেছি।’ মনিরুল জানান, আর্টিজান হামলার সময় ঘটনার আশেপাশেই ছিলেন টাঙ্গাইলে ধরা পড়া জাহাঙ্গীর। তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন। হামলার পর তিনি মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় পালিয়ে যান। সেখান থেকে চলে যান ঢাকার বাইরে। সম্পাদনা: এনামুল হক