গ্রিডে বাড়তি ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন আরও বেড়েছে। কূপ সংস্কারের কারণে উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। ৫টি কূপের ওয়াকওভার কাজ সম্পন্ন করায় এ ফিল্ডের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। এমনিতেই তিতাস ফিল্ডের কূপ থেকে প্রতিদিন ৫২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্যাস গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। চলতি ওয়ার্কওভারের ফলে এ ফিল্ড থেকে সাড়ে ৫শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আজ নাগাদ আরও অন্তত ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযোগ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছে। গ্যাস ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড তিতাসের ৫টি কূপ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংস্কারের আওতায় ১, ২, ৫, ১০ ও ১১ নং কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১১ ও ৫ নং কূপ খননের পর এবারই প্রথমবারের মতো সংস্কারের কাজ হয়েছে। অন্যদিকে ১, ২ ও ১০ নং কূপটি এর আগে সংস্কারের কাজ করা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৫টি কূপ থেকে প্রতিদিন ১২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আহরণ করা হচ্ছিল। সংস্কারের কারণে বর্তমানে ১৪০ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন হবে। সূত্র জানিয়েছে, সংস্কার করার কারণে অন্তত ১৫ মিলিয়ন বাড়তি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। সংস্কার ব্যয় ধরা হয় ২৩৫ কোটি টাকা। তবে ১৬০ কোটি টাকার মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, ১০নং কূপ থেকে অতিরিক্ত ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। ১১নং কূপ থেকে ২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। তিতাসের এসব কূপের টিউবিং সমস্যা, সেফটি বাল্ব সমস্যা থাকা এবং প্রেসার কম থাকায় এগুলো সংস্কার করতে হয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ করায় আগামী ১৫/২০ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। শুক্রবার ১নং কূপের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে ক্লিনিং কাজ। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ফ্লো দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত ফ্লো দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে এর উৎপাদন আরও বাড়বে। এ কূপ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হবে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান।
সূত্র জানিয়েছে, এ কূপের অবস্থা খুবই ভালো। সুদীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এ কূপ থেকে বিরামহীমভাবে গ্যাস আহরণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো গ্যাস কূপ থেকে এমনভাবে টানা ৬০ বছর ধরে গ্যাস উৎপাদনের নজির নেই বলে একজন কর্মকর্তা বলেন।