মুন সিনেমা হলের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ
এস এম নূর মোহাম্মদ: পুরান ঢাকার ওয়েজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। একজন সৎ ও দক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে ওই জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে।
এটি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলা নামেও পরিচিত। এই মামলায় আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ৫ মে দেওয়া রিভিউ আবেদনের রায়ে ৬০ দিনের স্থলে ৯০ দিনের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। রায়ে বলা হয়, সকল ধরনের দখলমুক্ত অথবা সকল বিরোধ শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করে তিন মাসের মধ্যে মূল মালিকের কাছে (রিটকারী) হস্তান্তর করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে নির্দেশ দেওয়া গেল।
তবে ওই রায়ের পর প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু রিটকারী পক্ষকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও রিটকারী মাকসুদুল আলম। গতকাল আদালত অবমাননার মামলায় আপিল বিভাগ উপরোক্ত আদেশ দেন। এ সময় রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ড. তৌফিক নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে বলা হয়েছে মুন সিনেমা হল ছেড়ে দেওয়া হোক। পরে সরকারের পক্ষ থেকে রিভিউ করলে আদালতের আদেশে বলা হয়, ওই সিনেমা হল ছেড়ে দেওয়া হোক অথবা উভয়পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে মুন সিনেমা হল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০১ সালে প্রতীকী মূল্য ১ টাকা দরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তা হস্তান্তর করে ডেভেলপারদের কাছে। ডেভেলপাররা মূল সিনেমা হলটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ করে এবং নিজেদের অংশ বর্তমান দোকান মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি আদালতের কাছে বলেছি, মুন সিনেমা হল আগের অবস্থায় ফেরত দেওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন মুন সিনেমা হলের জমির মূল্য ও মূল কাঠামোর মূল্য ধরে এর মালিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী