এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্ধর্ষ ১২ জঙ্গি
আরিফুর রহমান: আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান, চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ নব্য জেএমবির প্রধান মুসা ও গুলশান হামলার অর্থ সংগ্রহকারী বাসারুজ্জামানসহ অন্তত ১২ জঙ্গি নেতাকে খুঁজছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা গ্রেফতার হলে, জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
ব্লগার রাজীব হত্যার পর পরই সামনে আসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নাম। এরপর একের পর এক মুক্তমনা লেখক হত্যা, জানা যায় সংগঠটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। জেএমবি সম্পর্কে ধারণা থাকলেও নব্য জেএমবির নাম শোনা যায় গুলশান হামলার পর। তদন্তে বেরিয়ে আসে হামলাকারীদের সম্পর্কে নানা তথ্য। পরে পুলিশের অভিযানে নিহত হন এ হামলার মাস্টারমাইন্ড তামীম চৌধুরী। নিজেকে, আইএসের কথিত বাংলাদেশ শাখার প্রধান দাবি করতেন তিনি। এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন তামীমের সেকেন্ড ইন কমান্ড জাহিদ, মারজান, তানভীর কাদেরীসহ ১৩ জঙ্গি নেতা। পুলিশ বলছে, তারা সবাই গুলশান হামলায় জড়িত।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানাচ্ছে, জিয়া ছাড়াও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে গুলশান হামলায় জড়িত মঈনুল ইসলাম ওরফে আবু মুসা, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ ও সালাউদ্দিন সালেহীনকে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা ঘটানোর ক্ষেত্রে যাদের গুরুত্বপূর্ণ রোল ছিল এরকম একজনের নাম হল বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট। আরও অন্তত তিনজন রয়েছে যাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নব্য জেএমবির অর্থ ও আইটি সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ রিপন, উত্তরাঞ্চলের কমান্ডার রাশেদুল ওরফে র্যাশ, আজাদুল ওরফে কবিরাজসহ খোঁজা হচ্ছে অন্তত ১২ জঙ্গি নেতাকে। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি