সংসদ ভবনের নকশার পর্যালোচনা চলছে
এমএ আহাদ শাহীন: যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার আর্কিটেকচারাল আর্কাইভ থেকে স্থপতি লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা নিয়ে আসার পর তা নিয়ে এখন পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার। গতকাল সচিবালয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সংসদ ভবনের নকশা আনা হয়েছে। এখন তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। সময় হলে তা উন্মুক্ত করা হবে।
২০১৬ সালের মে মাসে জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা আনতে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যান। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার আর্কিটেকচারাল আর্কাইভে সংরক্ষিত আট হাজার নকশা ও নথি থেকে প্রয়োজনীয় ৮৫৩টি নকশা ও ৬০টি ডকুমেন্ট চিহ্নিত করা হয়। পরে আবারও বাংলাদেশ থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ৬ জুন সেখানে যায়। দুই সপ্তাহ অবস্থানকালে তারা লুই আই কানের প্রতিষ্ঠান ডেভিড অ্যান্ড উইজডমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নকশাগুলো চিহ্নিত করেন। এরপর এগুলো আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার আর্কিটেকচারাল আর্কাইভ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী সেগুলোর অনুলিপির মুদ্রণ কাজ শেষ করার পর আনা হয় ঢাকায়।
জানা গেছে, প্রতিটি নকশার জন্য ১৯ ডলার খরচ করা হয়েছে। এছাড়া ১১৫টি নকশা আছে, যেগুলোর অনুলিপি এখনও তৈরি হয়নি। এগুলো আনতে আরও ৬০ হাজার ডলারের মতো লাগবে। নকশার চার সেট অনুলিপি আনা হয়েছে। এক সেট জাতীয় সংসদ লাইব্রেরিতে, আরেক সেট স্থাপত্য অধিদফতরে এবং আরেকটি সেট গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আর্কাইভে রাখা হবে। এছাড়া অপর একটি সেট থাকবে জাতীয় আর্কাইভে। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার নকশা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর স্থানান্তর করা হবে। নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের পর সেখানে জাতীয় সংসদের লাইব্রেরি, জাদুঘর ও প্রশাসনিক সচিবালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। একই সঙ্গে তারা নকশা বহির্ভূত স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। সম্পাদনা: এনামুল হক