জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ ২৭ লাখ বেকারত্বের কর্মসংস্থান হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
সাইদ রিপন: চলতি অর্থবছর দেশে ২৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক লোক বেকার আছে। আমরা এদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দিব। তাহলে আমরা প্রতিবছর ২০ লাখ কর্মক্ষম দক্ষ লোক পাব। এছাড়াও চলতি অর্থবছর ৭ লাখ মানুষ দেশের বাইরে পাঠানো হবে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, চলতি বছর ২৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৭ সালের অর্থনীতি ২০১৬ সালের অর্থনীতির চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবে।
গত কয়েক বছরের বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস অনেক বেশি, যেটিকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। চলতি বছর মন্ত্রণালয়ের অধীন চারটি প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যর কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া পূর্বাভাসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক সব সময় রক্ষণশীল পদ্ধতিতে প্রবৃদ্ধির হিসাব করে থাকে। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলনের সঙ্গে বিবিএসের হিসাবের পার্থক্য থাকে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এতে লুকোচুরির কিছু নেই। আইএমইডি যেমন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তদারক করে থাকে, বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হিসাব তৈরির কাজটি তদারক করে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিধি ও আকার বাড়ছে। এছাড়াও প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে প্রকল্প কাজ তদারকির গতি আনতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সঠিক সময়ে যথাযথ পরিসংখ্যান দরকার। কিন্তু বিদ্যমান কাঠামোতে বিবিএস এই কাজটি এখনো যথাযথভাবে করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রেই পুরাতন ফিগার ব্যবহার করতে হচ্ছে। একারণে বিবিএসকেও শক্তিশালী করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিআইডিএস বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নানা কারণে এটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়নি। সরকার এখন বিআইডিএসকে সেন্টার অব একসিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে। এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে পুনর্গঠন করা হবে। দেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ইস্যুতে গবেষণার পাশাপাশি এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাও দেওয়া হবে। একই উদ্দেশ্যে এনএপিডিকেও শক্তিশালী করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
রেমিট্যান্স বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হুন্ডিসহ অন্যান্য অপ্রচলিত মাধ্যমে রেমিট্যান্সের অর্থ দেশে ঢুকছে। এজন্য রেমিট্যান্সের প্রবাহ কম মনে হচ্ছে। সরকার অপ্রচলিত পদ্ধতিগুলো বন্ধের উপায় খুঁজছে। প্রচলিত মাধ্যমে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে পরিকল্পনামন্ত্রী এ খাতে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। জিডিপির হিসাবে রেমিট্যান্স ধরা হয় না, তাই এ খাতে প্রবাহ কমলেও প্রবৃদ্ধিতে তা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী । সম্পাদনা: এনামুল হক