মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছে সরকার
আনিসুর রহমান তপন: প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন, আবেদনকৃত ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে উপজেলা ও জেলা-মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে সরকার।
গত ১২ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়। এখানে আরও বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে এর আগে গঠিত সকল কমিটি বাতিল করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উপজেলা বাছাই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য এই কমিটির সভাপতি হবেন অথবা তার মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি কমিটির সভাপতি হবেন। তবে সংসদ সদস্যের মনোনীত প্রার্থী সভাপতি হলে তিনি কমিটির সদস্য হবেন। কমিটিতে সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মনোনীত উপজেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মনোনীত সংশ্লিষ্ট উপজেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমা- কাউন্সিলের মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার অথবা তার মনোনীত জেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমা-ের একজন প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে কমিটিতে থাকবেন।
প্রজ্ঞাপনে কমিটি গঠনে শর্ত দিয়ে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাইয়ের আওতাধীন কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি যাচাই-বাছাই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। তাছাড়া যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি (সংসদ সদস্য ব্যতীত) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মনোনীত হবেন।
এছাড়াও কমিটির কার্যপরিধির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গঠিত কমিটি ইতোপূর্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পাঠানো মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তথ্যাবলী ‘মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা-২০১৬’ অনুসরণ করতে হবে। কোনো কারণে কমিটির সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সদস্য কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষ যে কোনো কমিটির আংশিক বাতিল বা সংশোধন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক