সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে নির্বাচন কমিশন আইন ১৫ দিনেই করা সম্ভব : অ্যাটর্নি জেনারেল
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন করার কথা সংবিধানে বলা আছে। রাষ্ট্রপতি চাইলে এখন আইন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি আইন করার সিদ্ধান্ত নিলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইন করা সম্ভব। এই আইন করার জন্য তিনি নির্দেশ দিলে কিংবা সিদ্ধান্ত দিলে এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। আইন মন্ত্রণালয়-এর সংশ্লিষ্ট শাখা আইন তৈরি করে দিলে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এরপর সংসদে পাঠানো হবে। সংসদে বিল পাস হলে আইন করে ফেলতে পারবে। এই কথাগুলো বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মাসে। তবে আমি ঠিক জানি না সবাই একদিনে অবসরে যাচ্ছেন কিনা। তারা যদি একসঙ্গে যানও তাতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সংসদ অধিবেশনের একটি অধিবেশন তো বসবে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই এখন বড় বিষয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি আইন করার সিদ্ধান্ত দেন তাহলে সংসদ না থাকলেও সমস্যা নেই। অধ্যাদেশ করেই করা যাবে। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত অধ্যাদেশ করতে পারেন। সেটা রাষ্ট্রপতি করবেন। এই জন্য প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এর যে আইন করা হবে সে জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির আগে আর সংসদ অধিবেশন বসবে না। সে ক্ষেত্রে অধ্যাদেশ করা যেতে পারে। ওই অধ্যাদেশের বলেই কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে তারা দায়িত্ব নিবেন। এরপর পর ধীরে ধীরে আইন করা যেতে পারে। আর আইন করার জন্য সব দিকগুলো পর্যালোচনা করে এমনভাবে করতে হবে যাতে করে আইন করার পরপরই সংশোধনের প্রয়োজন না হয়।
তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে থাকার কারণে এনিয়ে এখনই ওইভাবে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না, কারণ তিনি শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা দেখতে হবে। তার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সেখানে পাঁচজন কমিশনার নিয়োগের বিধান রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে এখনই পাঁচজনকে নিয়োগ না করে আপাতত তিনজন নিয়োগ করা হলে বাকি দুজন পরে নিয়োগ করা যেতে পারে কিনা এই ক্ষেত্রে আইনি কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাঁচজন এক সঙ্গে অবসরে গেলে কমিশন শূন্য না রেখে পাঁচজনই নিয়োগ করা যেতে পারে। আর যদি মনে করেন পরেও নিয়োগ দিবেন সেই ক্ষেত্রে কিভাবে কি করবেন সেটা রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নিবেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম